31 October 2024

জুমার দিনে সুরা কাহাফ পাঠের গুরুত্ব

 


জুমার দিনে সুরা কাহাফ পাঠের গুরুত্ব

ইত্তেফাক অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:৩৩

  

জুমার দিন দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ দিন হিসেবে গণ্য করা হয়। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত নবীজি (সা.) বলেছেন, পৃথিবীর যতদিন সূর্য উদিত হবে তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ দিন হলো শুক্রবার। এ দিনে আদমকে (আ.) সৃষ্টি করা হয়েছে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে। এ দিনেই তাঁকে জান্নাত থেকে বের করা হয়েছিল। সর্বশেষ কেয়ামত সংঘটিত হবে শুক্রবার দিনে। (মুসলিম : ৮৫৪)। জুমার দিনকে সপ্তাহের সেরা দিন হিসেবেও ঘোষণা করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, জুমার দিন দিবসসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং তা আল্লাহর নিকট অধিক সম্মানিত। (ইবনে মাজা : ১০৮৪)

জুমার দিন মুসলিম উম্মাহর জন্য রয়েছে ফজিলতপূর্ণ অনেক আমল। এগুলো মধ্যে একটি আমল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তা হচ্ছে জুমআর দিনে ‘সুরা কাহাফ’ তেলাওয়াত করা। পবিত্র কোরআনের ১৫তম পারার ১৮তম সুরা এটি। যদি কেউ সম্পূর্ণ সুরাটি তেলাওয়াত করতে না পারেন তবে সে যেন এ সুরার প্রথম এবং শেষ ১০ আয়াত তেলাওয়াত করে।

কোরআনের কোনো অংশ মুখস্থ করলে ইমান বৃদ্ধি হয়। সুরা আল কাহাফে কয়েকটি গল্প রয়েছে যেগুলি দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োগের জন্য বাস্তব পাঠ শেখায় এবং কোরআনের সঙ্গে দৃঢ় সংযোগ গড়ে তুলতে সাহায্য করে। যেমন, ‘পৃথিবীর ওপর যা কিছু আছে আমি সেগুলোকে তার শোভা করেছি মানুষকে, এই করার জন্য যে ওদের মধ্যে কে কর্মে ভালো।’ (সুরা কাহাফ, ৭) সুরা কাহাফে চারটি ঘটনা, চারটি বক্তব্য ও উপদেশ রয়েছে। সুরার ১ থেকে ৮ আয়াতে রয়েছে বক্তব্য। ৯ থেকে ২৬ আয়াতে আছে আসহাবে কাহাফের ঘটনা।

হাদিসে আছে, ‘যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্থ করবে, সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে মুক্তি পাবে।’ (মুসলিম শরিফ) রাসুল (সা.) আমাদের সুরা কাহাফের প্রথম দশটি আয়াত মুখস্থ করতে বলেছেন। 

সুরা কাহাফের প্রথম দশ আয়াতে ইসলামের মৌলিক কয়েকটি বিষয়ে বলা হয়েছে। ‘আর তাদের সতর্ক করার জন্য যারা বলে যে, আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন, এ বিষয়ে তাদের কোনো জ্ঞান নেই এবং তাদের পিতৃপুরুষদেরও ছিল না। উদ্ভট কথাই তাদের মুখ থেকে বের হয়, তারা কেবল মিথ্যাই বলে।’ (সুরা কাহাফ, ৪-৫)

রাসুলের (সা.)–এর ওপর ওহি অবতীর্ণ হওয়ার আলোচনা এসেছে, ‘প্রশংসা আল্লাহরই, যিনি তাঁর দাসের প্রতি কিতাব অবতীর্ণ করেছেন ও এর মধ্যে তিনি কোনো অসংগতি রাখেননি।’ (সুরা কাহাফ, ১)

প্রতিদানের কথা এসেছে পরের আয়াতে। তাতে ভয় ও আশা দুটি আবেগই দেখা যায়। ‘তার কঠিন শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করার জন্য একে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন আর বিশ্বাসীগণ যারা সৎকাজ করে, তাদেরকে সুসংবাদ দেবার জন্য যে তাদের জন্য বড় ভালো পুরস্কার রয়েছে।’ ‘সেখানে তারা চিরকাল থাকবে।’ (সুরা কাহাফ, ২-৩)

রাসুল (সা.) আমাদের আগেই সতর্ক করে দিয়েছেন, ‘আদমের সৃষ্টির পর থেকে বিচার দিবসের আগ পর্যন্ত দাজ্জালের চেয়ে বড় আর কোনো ফিতনা নেই।’ (মুসলিম শরিফ) এটি দাজ্জালের বিরুদ্ধে একটি ঢাল।

‘সূরা কাহাফ’ পাঠ ও তেলাওয়াতের ফজিলত- যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা আল কাহাফ পড়বে, তার (ঈমানের) নূর এ জুমাহ হতে আগামী জুমাহ পর্যন্ত চমকাতে থাকবে। (মিশকাত ২১৭৫)।- যে ব্যক্তি সূরা আল কাহাফ এর প্রথম দশটি আয়াত মুখস্থ করবে তাকে দাজ্জালের অনিষ্ট হতে নিরাপদ রাখা হবে। (মুসলিম) (মিশকাত)।- ‘যে ব্যক্তি সূরা কাহাফ পাঠ করবে, কিয়ামতের দিন তার জন্য এমন একটি নূর হবে, যা তার অবস্থানের জায়গা থেকে মক্কা পর্যন্ত আলোকিত করে দিবে। আর যে ব্যক্তি উহার শেষ দশটি আয়াত পাঠ করবে, তার জীবদ্দশায় দাজ্জাল বের হলেও সে তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। ’ (সিলসিলায়ে সহীহা -২৬৫১)।- যে ব্যক্তি জুমার রাত্রিতে সূরা কাহাফ পাঠ করবে, তার জন্য স্বীয় অবস্থানের জায়গা হতে পবিত্র মক্কা পর্যন্ত একটি নূর হবে। ’ (সহীহ তারগীব ওয়াত্ তারহীব - ৭৩৬)।- জুমার দিনে সূরা কাহফ পাঠ করিলে কিয়ামত দিবসে তার পায়ের নীচ থেকে আকাশের মেঘমালা পর্যন্ত নূর আলোকিত হবে এবং দুই জুমার মধ্যবর্তী গুনাহ মাফ হবে। (আত তারগীব ওয়াল তারহীব- ১/২৯৮)- জনৈক ব্যক্তি সূরাহ আল কাহাফ পড়ছিল। তখন লোকটি তাকিয়ে দেখতে পেল একখণ্ড মেঘ তাকে পরিবেষ্টন করে নিয়েছে। বারা ইবনু আযিব বর্ণনা করেছেন যে, লোকটি বিষয়টি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসালাম এর কাছে বললেন। তিনি তাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, হে অমুক তুমি সূরাটি পড়তে থাক। কারণ এটি ছিল আল্লাহর রহমাত বা প্রশান্তি যা কোরআন তেলাওয়াতের কারণে বা কোরআন তেলাওয়াতের জন্য অবতীর্ণ হয়েছিল। (মুসলিম- ১৭৪২)।অর্থাৎ এটা হলো আল্লাহ  তায়ালার পক্ষ থেকে ওই ‘সাকীনা’ বা প্রশান্তি যা কোরআন পাঠের সময় অবতীর্ণ হয়ে থাকে। বৃহস্পতিবার দিন শেষে সূর্য ডোবার পর থেকে শুক্রবার সূর্য ডোবা পর্যন্ত যে কোনো সময় সূরা কাহাফ পাঠ করলে হাদিস অনুযায়ী আমল করা হবে, ইনশাআল্লাহ।

 বৃহস্পতিবার  দোয়া কবুলের সময় ।

যাদের বিয়ে হচ্ছে না, বাচ্চা হচ্ছে না, চাকরি হচ্ছে না তারা দোয়া করাতে পারেন।

বৃহস্পতিবার খতম পড়ে বিভিন্ন আমল করে তাদের জন্য দোয়া করা হবে ইনশাআল্লাহ।


আপনি ও আপনার সমস্যার জন্য খতম পড়াতে পারেন। যারা খতম পড়াতে চান পেইজে লাইক দিয়ে মেসেজ করতে পারেন।

30 October 2024

অজুর পর যে দোয়া পড়লে জান্নাতের সুসংবাদ

অজুর পর যে দোয়া পড়লে জান্নাতের সুসংবাদ

অজু সমাপ্ত করার পর এই দোয়া (কালেমা শাহাদাত) বলা মুস্তাহাব।



 উচ্চারণ : ‘আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহ। ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রাসুলুহ’।


অর্থ : আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে আল্লাহ ছাড়া সত্য কোনো উপাস্য নেই।



তিনি এক। তাঁর কোনো শরিক নেই। আমি আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি যে মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর বান্দা ও তাঁর রাসুল। ’

উপকারিতা : অজুর শেষে এই দোয়া পাঠকারীর জন্য জান্নাতের আটটি দরজাই খুলে দেওয়া হয়।



যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা সে দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবে। (সহিহ মুসলিম, ত্বহারাত অধ্যায়, হাদিস : ৩৪৫)

অজু শেষে পড়ার আরেকটি দোয়া : অজুর শেষে এই দোয়া পড়ার কথাও সহিহ হাদিসে এসেছে।


উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মাজ আলনি মিনাত তাওয়্যাবিনা ওয়াজ আলনি মিনাল মুতাত্বহহিরিন। ’


অর্থ : হে আল্লাহ, আমাকে আপনি তাওবাকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন, আমাকে পবিত্রতা অর্জনকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন।



(তিরমিজি, হাদিস : ৫৫; ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৪৭০)

28 October 2024

তাহাজ্জুত সালাত। এসময় খুব বেশি দোয়া কবুল হয়

তাহাজ্জুত সালাত। এসময় খুব বেশি দোয়া কবুল হয়


আর তোমাদের মধ্যে এমন একটা দল থাকা উচিত যারা আহবান জানাবে

সৎকর্মের প্রতি, নির্দেশ দেবে ভাল কাজের এবং মন্দ কাজ করতে নিষেধ করবে। আর তারাই সফলকাম।


(সুরা ইমরান ৩:১০৪ )

 ১০। সূরা মুলক (কবরের আযাব থেকে রক্ষা করে)

 ৯। প্রত্যেক সকাল ও সন্ধ্যায় সাইয়িদুল ইস্তিগফার পড়া। ক্ষমার শ্রেষ্ঠ দুয়া।

~~~~~

রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে এই দো‘আ পাঠ

করবে, দিনে পাঠ করে রাতে মারা গেলে কিংবা রাতে পাঠ করে দিনে

মারা গেলে, সে জান্নাতী হবে’।

ﺍَﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺭَﺑِّﻰْ ﻵ ﺇِﻟﻪَ ﺇﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺧَﻠَﻘْﺘَﻨِﻰْ ﻭَﺃَﻧَﺎ ﻋَﺒْﺪُﻙَ ﻭَﺃَﻧَﺎ ﻋَﻠﻰ ﻋَﻬْﺪِﻙَ ﻭَﻭَﻋْﺪِﻙَ ﻣَﺎ ﺍﺳْﺘَﻄَﻌْﺖُ، ﺃَﻋُﻮْﺫُﺑِﻚَ

ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّﻣَﺎ ﺻَﻨَﻌْﺖُ، ﺃﺑُﻮْﺀُ ﻟَﻚَ ﺑِﻨِﻌْﻤَﺘِﻚَ ﻋَﻠَﻰَّ ﻭَﺃَﺑُﻮْﺀُ ﺑِﺬَﻧْﺒِﻰْ ﻓَﺎﻏْﻔِﺮْﻟِﻰْ، ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﻻَﻳَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﺬُّﻧُﻮْﺏَ ﺇِﻻَّ ﺃَﻧْﺖَ -

উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা আনতা রববী লা ইলা-হা ইল্লা আনতা খলাক্বতানী, ওয়া

আনা ‘আবদুকা ওয়া আনা ‘আলা ‘আহদিকা ওয়া ওয়া‘দিকা মাসতাত্বা‘তু, আ‘ঊযুবিকা মিন

শাররি মা সানা‘তু। আবূউ লাকা বিনি‘মাতিকা ‘আলাইয়া ওয়া আবূউ বি যাম্বী ফাগফিরলী

ফা ইন্নাহূ লা~ ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা আনতা।

যখন ঘুমাচ্ছেন, ঘুম যখন ভেঙ্গে যাবে---- তখন এইটা পড়ে নিবেন--

যখন ঘুমাচ্ছেন, ঘুম যখন ভেঙ্গে যাবে---- তখন এইটা পড়ে নিবেন--

« ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻻَ ﺷَﺮﻳﻚَ ﻟَﻪُ، ﻟَﻪُ ﺍﻟْﻤُﻠْﻚُ ﻭَﻟَﻪُ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ، ﻭَﻫُﻮَ ﻋَﻠَﻰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻗَﺪِﻳﺮٌ، ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ

ﺍﻟﻠَّﻪِ، ﻭَﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟﻠَّﻪِ، ﻭَﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ، ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﺃَﻛﺒَﺮُ، ﻭَﻻَ ﺣَﻮْﻝَ ﻭَﻻَ ﻗُﻮَّﺓَ ﺇِﻻَّ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﺍﻟْﻌَﻠِﻲِّ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢِ ‏» ‏« ﺭَﺏِّ

ﺍﻏْﻔﺮْ ﻟِﻲ ».

লা~ ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা- শারীকা লাহূ, লাহুল মুলকু, ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া

হুয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বদীর। সুবহা-নাল্লাহি, ওয়ালহামদুলিল্লাহি, ওয়া লা~ ইলা-হা

ইল্লাল্লা-হু, ওয়াল্লা-হু আকবার, ওয়া লা- হাওলা ওয়ালা- কুওয়াতা ইল্লা-বিল্লা-হিল

‘আলিয়্যিল ‘আযীম, রাব্বিগফির লী

.

অর্থ- “একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো

শরীক নেই; রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসাও তাঁরই; আর তিনি সকল কিছুর ওপর

ক্ষমতাবান। আল্লাহ পবিত্র-মহান। সকল হামদ-প্রশংসা আল্লাহ্র। আল্লাহ ছাড়া

কোনো হক্ব ইলাহ নেই। আল্লাহ সবচেয়ে বড়। সুউচ্চ সুমহান

আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং

(সৎকাজ করার) কোনো শক্তি কারো নেই। হে রব্ব ! আমাকে ক্ষমা

করুন”।


উবাদা ইবনু সামিত (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ ( ﷺ ) বলেছে‘ন, “যদি কারো

রাত্রে ঘুম ভেঙ্গে যায় অতঃপর সে উপরের যিকিরের বাক্যগুলো পাঠ

করে এবং এরপর সে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায় অথবা কোনো প্রকার

দু‘আ করে বা কিছু চায় তবে তার দু‘আ কবুল করা হবে। আর যদি সে এরপর

উঠে ওযু করে (তাহাজ্জুদের) সালাত আদায় করে তাহলে তার সালাত কবুল

করা হবে।”

(সহীহ বুখারী, ১/৩৮৭, নং ১১০৩)

 ৬। ১০০ বার সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি

যে ব্যাক্তি সকালে ও সন্ধ্যায় ১০০ বার করে ‘সুবহা-নাল্লা-হি ওয়া বিহামদিহী’

পড়বে।তার গোনাহ মাফ হইয়া যাইবে,যদিও তা সাগরের ফেনা থেকেও

বেশী হয়’। (বুখারী ও মুসলিম)

 ৬। দুই হাতের তালু একত্রে মিলিয়ে সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক সূরা নাস পড়ে

তাতে ফুঁ দিবেন: তারপর দুই হাতের তালু দ্বারা দেহের যতটা অংশ সম্ভব

মাসেহ করবেন। মাসেহ আরম্ভ করবে মাথা, মুখমণ্ডল ও দেহের

সামনের দিক থেকে। (এভাবে ৩ বার।)


 


৫। ৩৩ বার সুবহান আল্লাহ, ৩৩ বার আলহা’মদুলিল্লাহ ,৩৪ বার আল্লাহু আকবার

পড়া

.

শুধু "সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম" পড়লেও হয়ে যাবে

দশবার দরুদ 

শুধু "সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম" পড়লেও হয়ে যাবে। (একবার দরুদ

পড়লে দশবার আল্লাহর রহমত বর্ষিত হয়, রাসূল ﷺ খুশি হন; বিচার দিবসে তাঁর

শাফায়াত পাওয়া সহজ হবে ইন শা আল্লাহ)


সাথে রাসূল (স) এর ঘুমানোর দুয়া "আল্লাহুম্মা বিইসমিকা আমূতু ওয়া আহইয়া"

পড়ে নেয়া। ডান কাধ হয়ে শোয়া।

 ৩। সুরা ইখলাস পাঠ করা – ১০ বার, না পারলে ৩ বার। ( প্রতি ৩ বার পড়লে

একবার কুরআন খতমের সওয়াব হয় ইন শা আল্লাহ)

 ২। সুরা বাক্বারার শেষ দুই আয়াত পড়া – রাতে ঘুমানোর আগে ১ বার (বিঃ দ্রঃ

অনেকে মুখস্ত করেন নি। দ্রুত করে নিবেন। লিখে দিচ্ছি, বাংলা

উচ্চারণে। আরবী ফন্ট অনেকের কাজ করেনা।


"আ-মানার-রাসুলু বিমা- উনজিলা ইলাইহি মির রাব্বিহি ওয়াল মু’মিনুন। কুল্লুন আমানা

বিল্লাহি ওয়া মালা-ইকাতিহি ওয়া কুতুবিহি ওয়া রুসুলিহি, লা নুফার-রিকু বাইনা আহা’দিম-মির

রুসুলিহ। ওয়া 'ক্বলু সামি’না, ওয়া আতা’ না, গুফরা নাকা, রব্বানা ওয়া ইলাইকাল মাসির।

লা~ ইউ কাল্লিফুল্লাহু নাফসান ইল্লা উস-আ’হা। লাহা মা কাসাবাত ওয়া আ’লাইহা মাক

তাসাবাত। রব্বানা লা~ তু আখিজনা- ইন্ নাসিনা- আও আখত্বা’না। রাব্বানা ওয়ালা তাহ’মিল

আ’লাইনা ইসরান কামা হা’মালতাহু আ’লাল্লাজিনা মিন ক্ববলিনা। রব্বানা ওয়ালা তুহা’ম্মিল

না মা-লা~ ত্ব কতালানা বিহ। ওয়া আ’ফু আ’ন্না, ওয়াগ ফিরলানা, ওয়ার হা’মনা। আনতা

মাওলানা, ফানসুরনা আ’লাল ক্বওমিল কা-ফিরিন"


(এটার ফযিলত তাহাজ্জুদ নামায পড়ার সমতুল্য!!! আর কি চাই বলুন! এত মর্যাদাপূর্ণ

ইবাদাত, না করতে পারলেও করার সমান সওয়াব হয়ে যাবে এটা পড়লেই!!

সুবহান আল্লাহ্। কতই না বরকতময় এই দুই আয়াত! )

আয়াতুল কুরসী – প্রতি ফরজ নামাযের পরই একবার করে পড়বেন

আয়াতুল কুরসী – প্রতি ফরজ নামাযের পরই একবার করে পড়বেন

অবশ্যই অবশ্যই। আর রাতে ঘুমানোর আগে একবার।

 🟥 এক হাজার পাপ ক্ষমা ও ১ হাজার নেকিঃ


১০০ বার তাসবীহ (সুবহানাল্লহ - سبحان الله) পাঠ করলে তার ‘আমলনামায় ১ হাজার নেকী লিপিবদ্ধ করা হবে এবং তার ১ হাজার অপরাধ ক্ষমা করা হবে।


(তিরমিজি ৩৪৬৩- হাসান সহিহ) 🍂


দ্রুত পড়ে নিন...

26 October 2024

 প্রতি পাচ ওয়াক্ত নামায আদায়ের পর ১ বার করে। আর ঘুমাতের যাওয়ার আগে ও ঘুম থেকে উঠে ১ বার।মোট ৭ বার। এই আমলটি আজীবন করতে হবে।

 আয়াতুল করছি পড়ে মনে মনে নিয়্যুত করবেন নুরু মুয়াককিল ছাড়া অন্যান্য সকল জিন্নাত আমাকে আযরাইল (আ:)  যে আকৃতিতে থাকে আমাকে যাতে সে আকৃতি দেখতে পায়। বলে হাতে ও বুকে একটা ফু দিয়ে শরীর মাসে হ করবেন।

23 October 2024

 ইচ্ছা পূরণের সালাতকেই সালাতুল হাজত বলা হয়! 


⭕ সালাতুল হাজত পড়ার নিয়মঃ


" কোন হালাল চাহিদা পুরনের জন্য আল্লাহ’র সন্তষ্টির উদ্দেশ্যে দুই রাকাত নফল সালাত আদায় করাকে “সালাতুল হাজত” বলা হয়"


[ইবনু মাজাহঃ হা/১৩৮৫]


⭕ কখন পড়বেনঃ


কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে কিংবা শারীরিক-মানসিকভাবে কোনো দুশ্চিন্তা দেখা দিলে এ নামাজ পড়তে হয়!


⭕ নিষিদ্ধ সময়ঃ


সালাতুল হাজত নিষিদ্ধ ওয়াক্ত ব্যাতীত যেকোনো সময়েই পড়তে পারেন!


⭕ নিয়মঃ

নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেই। হাজতের নিয়তে অন্যান্য নামাজের মতোই দু-রাকাত নফল নামাজ আদায় করবেন!


⭕করণিয়ঃ 

--সালাতুল 'হাজত’ নামাজের আলাদা কোনো নিয়ম নেই। স্বাভাবিক নামাজের মতোই উত্তমভাবে অজু করে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়বে। নামাজ শেষে আল্লাহ তায়ালার হামদ ও ছানা (প্রসংসা) এবং নবী করিম সা. এর ওপর দরুদ শরিফ পাঠ করে নিজের মনের কথা ব্যক্ত করে আল্লাহর নিকট দোয়া করবে!!

⭕ এই দোয়া পড়বেন মুনাজাতে ইনশাআল্লাহঃ


(ُ رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ)


[রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতাও ওয়া ক্কিনা আজাবানা নার]


অথবাঃ


ﻟَﺎ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ

ﺍﻟْﺤَﻠِﻴﻢُ ﺍﻟْﻜَﺮِﻳﻢُ ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺭَﺏِّ ﺍﻟْﻌَﺮْﺵِ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢِ

ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﺭَﺏِّ ﺍﻟْﻌَﺎﻟَﻤِﻴﻦَ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﻣُﻮﺟِﺒَﺎﺕِ ﺭَﺣْﻤَﺘِﻚَ

ﻭَﻋَﺰَﺍﺋِﻢَ ﻣَﻐْﻔِﺮَﺗِﻚَ ﻭَﺍﻟْﻐَﻨِﻴﻤَﺔَ ﻣِﻦْ ﻛُﻞِّ ﺑِﺮٍّ ﻭَﺍﻟﺴَّﻠَﺎﻣَﺔَ

ﻣِﻦْ ﻛُﻞِّ ﺇِﺛْﻢٍ ﻟَﺎ ﺗَﺪَﻉْ ﻟِﻲ ﺫَﻧْﺒًﺎ ﺇِﻟَّﺎ ﻏَﻔَﺮْﺗَﻪُ ﻭَﻟَﺎ ﻫَﻤًّﺎ ﺇِﻟَّﺎ

ﻓَﺮَّﺟْﺘَﻪُ ﻭَﻟَﺎ ﺣَﺎﺟَﺔً ﻫِﻲَ ﻟَﻚَ ﺭِﺿًﺎ ﺇِﻟَّﺎ ﻗَﻀَﻴْﺘَﻬَﺎ ﻳَﺎ

ﺃَﺭْﺣَﻢَ ﺍﻟﺮَّﺍﺣِﻤِﻴﻦَ ‎


উচ্চারণ: লাইলাহা‬ ইল্লাল্লাহুল হালিমুল কারিম, সুবহানাল্লাহি রাব্বিল আরশিল আজিম। আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন, আছআলুকা মুজিবাতি রাহমাতিক; ওয়া আজা-ইমা মাগফিরাতিক, ওয়াল গানিমাতা মিন কুল্লি বিররিউ ওয়াস‌ সালামাতা মিন কুল্লি ইছমিন লা তাদাঅলি- জাম্বান ইল্লা গাফারতাহু ওয়ালা হাম্মান ইল্লা ফাররাজতাহু ওয়ালা হাজাতান হিয়া লাকা রিজান- ইল্লা কাজাইতাহা ইয়া আর হামার রাহিমীন।


[তিরমিজি, মিশকাতঃ হা/৮৭৩,

আবু দাউদঃ ১৩১৯; সালাত অধ্যায়-২]

22 October 2024

আজানের জবাব দেওয়ার ফযিলত

 "আজানের জবাব দেওয়ার ফযিলত "


"আজানের জবাব দেওয়ার পদ্ধতি হলো, মুয়াজ্জিন প্রত্যেকটি বাক্য বলে থামার পর শ্রোতা ওই বাক্যটি নিজেও অনুরূপভাবে বলবে। কিন্তু মুয়াজ্জিন 'হাইয়্যা আলাস সালাহ' ও 'হাইয়্যা আলাল ফালাহ' বললে শ্রোতা 'লা হাওলা ওয়া লা কুউওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ' বলবে"(সহীহ মুসলিম) 


"মহানবী (সা.) বলেছেন, মুয়াজ্জিনের সওয়াব হলো- মুয়াজ্জিনের আযান শুনে যতগুলো মানুষ নামাজ পড়ছে তাদের সবার সমপরিমাণ সওয়াব অতিরিক্ত হিসাবে, বোনাস হিসাবে পাবে। মুয়াজ্জিনের এতো সওয়াবের কথা শুনে মহানবীর (সা.) সাহাবীরা চিন্তিত হয়ে পড়লেন এই ভেবে যে, মুয়াজ্জিনতো তাদের থেকে অনেক বেশি সওয়াবের অধিকারী হচ্ছে। তখন এক সাহাবী মহানবী (সা.) কে প্রশ্ন করেছিলেন, আমরা কীভাবে মুয়াজ্জিনের মতো অধিক সওয়াবের অধিকারী হতে পারি?জবাবে মহানবী (সা.) বলেছিলেন,যে ব্যক্তি আযানের জবাব দেবেন, তিনিও মুয়াজ্জিনের সমান সওয়াব পাবেন"(আবু দাউদ, তাবারানি) 


এ হাদিস গুলো থেকে স্পষ্ট আযানের জবাব দিলে ওই আযান শুনে যতলোক নামাজ পড়বে সবার সমপরিমান সওয়াব বোনাস হিসেবে পাওয়া যাবে।


আসুন ভাই ও বোনেরা  নিজের পরিবার,বন্ধুসহ সমাজের সর্বস্তরে ইসলামের দাওয়াত পৌছে দিই,অন্তত যেনো আমরা সবাই পরকালে কঠিন বিচারের দিনে আল্লাহর কাছে বলতে পারি"আমরা দুনিয়ায় তোমার সৈনিক ছিলাম,তোমার ইসলাম প্রচারে অংশগ্রহণ করেছিলাম"।মনে রাখবেন  আপনার দাওয়াত শুনে কেও যদি আমল করে তাহলে সমপরিমাণ সওয়াব আপনিও পাবেন,শুধু তাই নয় উপকারী ইলম(জ্ঞান)সাদকায়ে জারিয়ার মতো আপনার আমল নামায় সওয়াব যোগ করবে মৃত্যুর পরেও....প্রতিদিন ২৪ ঘন্টা সময়ের মধ্যে আমরা সবাই যদি মাত্র ১০ মিনিট সোশ্যাল মিডিয়ায় ইসলামের দাওয়াত দিই তাহলে সারাদেশে প্রত্যেক ঘরে ঘরে ইসলামের দাওয়াত পৌছে  যাবে ইনশাআল্লাহ....


 

21 October 2024

৬টি দোয়া ও জিকির কুরআন ও হাদিস এ বর্ণিত সকল দোয়া ও জিকির এর খোলাছা,সারমর্ম ও নির্জাস।

৬টি দোয়া ও জিকির কুরআন ও হাদিস এ বর্ণিত সকল দোয়া ও জিকির এর খোলাছা,সারমর্ম ও নির্জাস। এই ৬টি দোয়া ও জিকির যদি কেউ নিয়মিত আকড়ে ধরে তাহলে কুরআন ও হাদিস এর যতগুলো দোয়া ও জিকির আছে কেমন যেন তার নির্জাসটা নিয়মিত সে আমল করলো।


১.দরুদ শরীফ (ছোট বড় যে কোনো) 

২.ইস্তেগফার ( ছোট বড় যে কোনো)

৩.ইয়া জালজালালি ওয়াল ইকরাম।

৪.লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। 

৫. লা ইলাহা ইল্লা আংতা সুবহানাকা ইন্নি কুংতু মিনাজ জোয়ালিমিন। (দোয়া ইউনুস)

৬.সুবহানআল্লাহ,আলহামদুলিল্লাহ,লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, আল্লাহু আকবর। 


শায়খ আহমাদুল্লাহ

যে ব্যক্তি নিয়মিত ইসতিগফার পাঠ করে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা তাকে সর্বপ্রকার বিপদ আপদ হতে মুক্ত করবেন।

 যে ব্যক্তি নিয়মিত ইসতিগফার পাঠ করে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা তাকে সর্বপ্রকার বিপদ আপদ হতে মুক্ত করবেন। 


ও সব রকম দুশ্চিন্তা হতে রক্ষা করবেন, এবং তাঁর জন্য এমন স্থান হতে রিজিকের ব্যবস্থা করবেন, যা সে কল্পনাও করতে পারে না।


- [আবু দাউদ : ১৫১৮]...♥️🌸

রাসূল (সাঃ) কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হলে বলতেন-

 রাসূল (সাঃ)  কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হলে বলতেন-

উচ্চারণঃ ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যুম বিরহমাতিকা আস্তাগি-স।


অর্থ : হে চিরঞ্জীব! হে চিরস্থায়ী! আমি আপনার রহমতের উসিলায় সাহায্য প্রার্থনা করছি।


 (তিরমিজি, হাদিস : ৩৫২৪)

❒ যারা ফজরে এখনো অনিয়মিত তারা একটু মনোযোগ সহকারে পড়ে দেখি কী হারাচ্ছি আসলেঃ

 ❒ যারা ফজরে এখনো অনিয়মিত তারা একটু মনোযোগ সহকারে পড়ে দেখি কী হারাচ্ছি আসলেঃ


ফজরের নামাজের ১০টি ফজিলতঃ

১.নবী (ﷺ) বলেছেনঃ 

”মুনাফিকদের জন্য ফজর ও ‘ইশার নামাজ অপেক্ষা অধিক ভারী নামাজ আর নেই। এ দু’ নামাজের কী ফযীলত, তা যদি তারা জানতো, তবে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তারা উপস্থিত হতো। 

রসূলুল্লাহ্ (ﷺ) বলেন, আমি ইচ্ছে করেছিলাম যে, মুয়াজ্জিনকে ইক্বামাত দিতে বলি এবং কাউকে লোকদের ইমামতি করতে বলি, আর আমি নিজে একটি আগুনের মশাল নিয়ে গিয়ে অতঃপর যারা নামাজে আসেনি, তাদের উপর আগুন ধরিয়ে দেই”।

(সহিহ বুখারী- ৬৫৭)


২.“যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ আদায় করে, সে ব্যক্তি ঐ দিন আল্লাহর জিম্মায় চলে যায়।অর্থাৎ স্বয়ং আল্লাহ তালা ঐ ব্যক্তির দায়িত্ব নেন।

(সহিহ মুসলিম,তিরমিজি–২১৮৪)


৩.”যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ আদায় করবে,আল্লাহর ফেরেশতাগন আল্লাহর কাছে ঐ ব্যক্তিকে ভালো মানুষ হিসেবে সাক্ষী দিবে।

(বুখারী-মুসলিম)


৪.”যে ব্যক্তি ফজরের সালাত জামাতের সাথে আদায় করে,আল্লাহতালা তার আমলে দাঁড়িয়ে সারারাত নফল নামাজ আদায়ের সওয়াব দিয়ে দেন!

(সহিহ মুসলিম-১০৯৬)


৫.”যে ব্যক্তি ভোরে হেঁটে হেঁটে ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে প্রবেশ করবে,আল্লাহতালা কিয়ামতের দিন তার জন্য পরিপূর্ণ আলো দান করবেন।

(আবু দাউদ ৪৯৪)


৬."যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ আদায় করবে, আল্লাহ তাকে জান্নাতের সবচেয়ে বড় নিয়ামত দান করবেন।অথাৎ সে আল্লাহর দিদার লাভ করবে, এবং জান্নাতি ঐ ব্যক্তি আল্লাহকে পূর্নিমার রাতের আকাশের চাঁদের মত দেখবে।(বুখারী-৫৭৩)


৭."যে নিয়মিত ফজরের নামাজ আদায় করবে,সে কখোনোই জাহান্নামে প্রবেশ করবেনা।

(সহিহ মুসলিম ৬৩৪)


৮."যে নিয়মিত ফজরের নামাজ আদায় করলো, সে রাসূল (ﷺ) এর বরকতের দোয়া লাভ করবেন।

(সুনানে আবু দাউদ,মুসনাদে আহমাদ)


৯."ফজরের দু রাকাত সুন্নত নামাজ, দুনিয়া ও তার মাঝে যা কিছু আছে তারচেয়ে উত্তম।

(জামে তিরমিজি – ৪১৬)


১০."ফজরের নামাজ আদায়ের ফলে ব্যক্তির মন ফুরফুরে,প্রফুল্ল হয়ে যায়।

(সহিহ বুখারী, সহিহ মুসলিম)


শুকরিয়া ঐ মহান রবের প্রতি, যিনি ঘুম নামক মৃ*ত্যু থেকে জাগিয়ে ফজর সালাত আদায়ের তৌফিক দিয়েছেন।  আলহামদুলিল্লাহ 


"ইয়া আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার তৌফিক দান করুন" 

                                                    (আমীন)

নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রতি রাত্রে শয্যা গ্রহনের সময় তালুদ্বয় একত্রিত করে তাতে

 ‎আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ


নবী করীম (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) প্রতি রাত্রে শয্যা গ্রহনের সময় তালুদ্বয় একত্রিত করে তাতে সূরা ইখলাস, ফালাক ও নাস পড়ে ফুঁ দিতেন। অতঃপর হাতদ্বয় দ্বারা শরীরের যতদূর পর্যন্ত বুলানো সম্ভব হতো, ততদূর পর্যন্ত বুলিয়ে নিতেন। স্বীয় মাথা, চেহারা এবং শরীরের সামনের দিক থেকে আরম্ভ করতেন। এইভাবে তিনি তিনবার করতেন।’’ 

(বুখারী ৫০১৭)

বদ নজরের আমল


 

“অতএব যখন তুমি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে, তখন আল্লাহর উপর ভরসা কর” – [সূরা আল ইমরান আয়াত ১৫৯]

 “অতএব যখন তুমি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে, তখন আল্লাহর উপর ভরসা কর” – [সূরা আল ইমরান আয়াত ১৫৯]

তোমরা নিদ্রা যাও এবং যখই নিদ্রা থেকে উঠ সূরাহ আল-ফালাক সূরাটি তোমরা সর্বাদা পড়বে।

 সূরাহ আল-ফালাক :


قُلۡ أَعُوذُ بِرَبِّ ٱلۡفَلَقِ (1) مِن شَرِّ مَا خَلَقَ (2) وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ (3) وَمِن شَرِّ ٱلنَّفَّٰثَٰتِ فِي ٱلۡعُقَدِ (4) وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ (5)


বাংলা  উচ্চারণ :


কুল আউযু বিরাব্বিল ফালাক। মিন শাররি মাখালাক্ব। ওয়া মিন শাররি গাসিক্বিন ইযা অক্বাব। ওয়া মিন শাররিন নাফ্ফাসাতি ফিল্ উকাদ। ওয়া মিন শাররি হাসিদিন ইযা হাসাদ।


অর্থ :


বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি প্রভাতের পালনকর্তার, তিনি যা সৃষ্টি করেছেন, তার অনিষ্ট থেকে, অন্ধকার রাত্রির অনিষ্ট থেকে, যখন তা সমাগত হয়, গ্রন্থিতে ফুঁৎকার দিয়ে জাদুকারিণীদের অনিষ্ট থেকে এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে।


সূরা আল ফালাক এর ফজিলত :


হাদিসে বর্ণিত, আল ফালাক সূরাটি মহান আল্লাহ্‌র নিকট অধিক প্রিয় এবং অধিক গ্রহণযোগ্য। আল ফালাক সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। সূরাটি অধিক পরিমাণে পড়ার কথা হাদিসে বলা হয়েছে। প্রিয় নবী  (সাঃ) বলেছেন, যখই তোমরা নিদ্রা যাও এবং যখই নিদ্রা থেকে উঠ এ সূরাটি তোমরা সর্বাদা পড়বে।  


হাদিসে বর্ণিত আছে, নবী করীম (সাঃ) জ্বিন ও মানুষের বদ নজর থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। যখন আল ফালাক তাঁর উপর নাযিল হয় তখন তিনি এ সূরাই অবলম্বন করলেন এবং আশ্রয় প্রার্থনা করা বন্ধ করে দেন।


অন্য এক হাদিসে আছে, নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, তোমরা সূরা ফালাক পড়তে থাক। কেননা, আল্লাহ্‌র নিকট এর চেয়ে অধিক প্রিয় এবং অধিক দ্রুত গ্রহণযোগ্য আর কোন সূরা তোমরা পড়তে পারবে না। সুতরাং যথাসম্ভব তোমরা এ সূরা পড়া ছেড়ে দিও না।

পাপের অনিবার্য ফল হিসেবে বান্দা যে দরজাই খুলতে যায়, তা বন্ধ পায়।

পাপের অনিবার্য ফল হিসেবে বান্দা যে দরজাই খুলতে যায়, তা বন্ধ পায়।

সে যে কাজেই হাত দেয়, তা কঠিন হয়ে যায়।


অন্যদিকে যে বান্দা আল্লাহকে ভয় করে, তার বিষয়াদি তিনি সহজ করে দেন।


অতএব তাকওয়ার বিপরীত পথে চলা মানে, ব্যক্তি নিজেই নিজের কাজকে কঠিন করে ফেলা। 


- ইমাম ইবনুল কাইয়িম রাহিমাহুল্লাহ

রাসূল (সাঃ) বলেছেন: “যে ব্যক্তি প্রতি ফরয নামায শেষে আয়াতুল কুরসী পড়ে

রাসূল (সাঃ) বলেছেন: “যে ব্যক্তি প্রতি ফরয নামায শেষে আয়াতুল কুরসী পড়ে, তার জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ছাড়া কোন কিছু বাধা হবে না। (সহীহ আল্ জামে :৬৪৬৪, নাসায়ী, ইবনে হিব্বান, ত্বাবরানী, আল্লামা আলবানী রহ. এর সিলসিলাতুল আহাদিস আস-সহীহা খণ্ড দুই হাদিস নং-৯৭২)





প্রতি ফরয নামায শেষে


আপনি কি জানেন দোয়া কবুলের গল্পগুলো কেমন হয়

 "দু'আ কবুলের গল্পগুলো" আপনি কি জানেন দোয়া কবুলের গল্পগুলো কেমন হয়? কতটা অশ্রুসিক্ত আনন্দময় হয়? আমাদের আশেপাশের সাধারণ, অতি সাধারণ মানুষেরা জানে না কিভাবে দু’আ করতে হয়। কিভাবে ডাকলে আল্লাহ্‌ শুনেন, দু’আ কবুল করেন। অন্যদিকে অনেক মানুষ আছে যারা আল্লাহকে ডেকে সাড়া পেয়েছে, জীবনের মোড় ঘুরে গেছে, চরম হতাশা ও বিপদের মুহুর্তে এক আল্লাহ্‌র উপর তাওয়াক্কুল করে ফল পেয়েছে – এরকম মানুষের গল্প ভুড়িভুড়ি। তোমরা দু'আ নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করো, ফলে তোমাদের দু'আ বিফলে যায়। তোমরা জানো না দু'আয় কি আছে; বরং শেষ রাতের দু'আ এমন এক তীর, যা কখনই লক্ষ্যচ্যুত হয় না। এই পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের দুআ কবুলের গল্প এক এক রকম না, মানুষ দুআ তার প্রযোজন অনুযায়ী, বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়ার আশায়, তাই দুআ কবুলের গল্পগুলো নানা রকম সঠিক সময়ে সঠিক উপায়ে আরো কত শত দোয়া কবুলের গল্প তৈরী হবে আমার... আপনার.... সবার.... ইন শা আল্লাহ।

 সকাল-সন্ধ্যায় পাঠ করার জন্য শ্রেষ্ঠ ৪টি যিকর ও তাসবিহ:

.

(১) নিচের তাসবিহটি মাত্র ১বার পড়লেই অনেক প্রতিদান:

.

لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللّٰهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ

.

(লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়া‘হদাহু লা শারি-কা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল ‘হামদু ওয়া হুওয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদি-র)

.

অর্থ: আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই। তিনি এক; তাঁর কোনো অংশীদার নেই। সকল প্রশংসা ও রাজত্ব তাঁরই; তিনি সর্ব বিষয়ে সর্বশক্তিমান।

.

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি সকালে (উপরের বাক্যটি) বলবে, সে ইসমাইল (আ.)-এর বংশের একজন দাস মুক্ত করার সওয়াব লাভ করবে, তার জন্য ১০টি নেকি লেখা হবে, তার ১০টি গুনাহ মাফ করা হবে, তার জন্য ১০টি মর্যাদা উন্নীত করা হবে এবং সন্ধ্যা পর্যন্ত তাকে শয়তান(-এর প্ররোচনা ও ধোঁকা) থেকে সুরক্ষিত রাখা হবে। আর যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় পড়বে, তার জন্যও সকাল পর্যন্ত অনুরূপ (প্রতিদান) থাকবে।” [ইমাম আবু দাউদ, আস-সুনান: ৫০৭৭; হাদিসটি সহিহ]

.

(২) যেকোনো বিপদ ও ক্ষতি থেকে নিরাপদে থাকতে:

 

.

بِسْمِ اللّٰهِ الَّذِيْ لَا يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِي الْأَرْضِ وَلَا فِي السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْمُ 

.

(বিসমিল্লা-হিল্লাযি লা ইয়াদুররু মা‘আসমিহি শাইউন ফিল আরদ্বি ওয়ালা ফিসসামা-ই ওয়া হুওয়াস সামি-‘উল ‘আলি-ম)

.

অর্থ: আল্লাহর নামে; যাঁর নামের সাথে (বরকতে) আসমান ও জমিনে কোনোকিছুই ক্ষতি করতে পারে না; তিনি সর্বশ্রোতা, মহাজ্ঞানী।

.

নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি সকালে ও সন্ধ্যায় ৩ বার (উপরের বাক্যটি) বলবে, কোনোকিছুই তার ক্ষতি করতে পারবে না।” [ইমাম আবু দাউদ, আস-সুনান: ৫০৮৮; ইমাম তিরমিযি, আস-সুনান: ৩৩৮৮; হাদিসটি হাসান]

.

(৩) যে বাক্যে আল্লাহর সন্তুষ্টি নিশ্চিত হয়:

.

رَضِيْتُ بِاللّٰهِ رَبًّا، وَّبِالْإِسْلاَمِ دِينًا وَّبِمُحَمَّدٍ ﷺ نَبِيًّا 

.

{রাদ্বি-তু বিল্লা-হি রাব্বা, ওয়া বিল ইসলামি দ্বি-না, ওয়াবি মুহাম্মাদিন (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নাবিয়্যা}

.

অর্থ: আল্লাহকে রব, ইসলামকে দ্বীন ও মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে নবি হিসেবে গ্রহণ করে আমি সন্তুষ্ট।

.

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি সকালে ও সন্ধ্যায় ৩বার বলবে (উপরের বাক্যটি), আল্লাহর কাছে তার অধিকার হয়ে যায় যে, তিনি তাকে কিয়ামাতের দিন সন্তুষ্ট করবেন।” [ইমাম আহমাদ, আল-মুসনাদ: ১৮৯৬৭;  হাদিসটির সনদ সহিহ লি গাইরিহি]

.

(৪) ছোট একটি তাসবিহ, নেকিতে যা অতুলনীয়:

.


سُبْحَانَ اللَّهِ وَبِحَمْدِهِ 

.

(সুব‘হা-নাল্লা-হি ওয়া বি‘হামদিহি)

অর্থ: আল্লাহ পবিত্র ও প্রশংসা কেবল তাঁরই।

.

নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যায় ১০০ বার বলবে (উপরের বাক্যটি), কিয়ামতের দিন তার তুলনায় উত্তম আমল নিয়ে কেউ আসবে না। তবে সে ব্যক্তি ব্যতীত, যে অনুরূপ (আমল) করবে অথবা তার এর বেশি করবে।” [ইমাম মুসলিম, আস-সহিহ: ৬৭৩৬]

শেষ পর্ব

🖋️Tasbeeh

দান সাদকা কি শুধু টাকা দিয়েই হয়?

 দান সাদকা কি শুধু টাকা দিয়েই হয়?

নাহ! টাকা ছাড়াও হয়...


 রাসূলুল্লাহ  ﷺ বলেছেন_____


"তোমার হাস্যোজ্জ্বল মুখ নিয়ে তোমার ভাইয়ের সামনে উপস্থিত হওয়া তোমার জন্য সাদকাস্বরূপ।

তোমার সৎকাজের আদেশ এবং তোমার অসৎকাজ হতে বিরত থাকার নির্দেশ তোমার জন্য সাদকাস্বরূপ।


পথহারা লোককে পথের সন্ধান দেয়া তোমার জন্য সাদকাস্বরূপ।

স্বল্প দৃষ্টি সম্পন্ন লোককে সঠিক দৃষ্টি দেয়া তোমার জন্য সাদকাস্বরূপ (অর্থাৎ দৃষ্টিহীনকে পথ দেখানোও সাদকা)।


পথ হতে পাথর, কাটা ও হাড় সরানো তোমার জন্য সাদকাস্বরূপ।

তোমার বালতি দিয়ে পানি তুলে তোমার ভাইয়ের বালতিতে ঢেলে দেয়া তোমার জন্য সাদকাস্বরূপ।"

(সূনান আত তিরমিজী:১৯৫৬)


"পানি পান করানোর চাইতে বেশি নেকি আর কোনো সদকাতে নেই।"

(বায়হাকী শু'আবুল ঈমান ৩১০৫)


আরো হলো, 


একবার সুবহানাল্লাহ বলা একটি সদাকাহ।

একবার আলহামদুলিল্লাহ বলা একটি সাদাকাহ।

একবার আল্লাহু আকবার বলা একটি সদাকাহ।

একবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলা একটি সাদাকাহ।


নিজ হাতে লাগানো গাছের পাতা, ফল কোন প্রাণী খেলে সেটিও একটি সাদাকাহ।

কাউকে একটি বোঝা তার বাহনে তুলে দিতে সহযোগিতা করা একটি সদাকাহ।


কাউকে একটি বোঝা তার বাহন থেকে নামাতে সহযোগিতা করা একটি সদাকাহ।

বিবাদমান দু'ব্যক্তির মাঝে সুবিচার করা একটি সাদাকাহ।


একটি উত্তম কথা একটি সাদাকাহ।

সালাতের জন্যে মসজিদের পথে প্রতিটি পদক্ষেপ একটি সদাকাহ।

(সহীহ মুসলিম: ৭২০, ১০০৬, ১০০৯, ১৫৫৩)


মহান আল্লাহ সুবহানু ওয়া তাআলার কত দয়া! আমাদের নেকীর পাল্লা ভারী, জাহান্নাম থেকে বেঁচে থাকতে, পরিবার ও সমাজ সুন্দর করে গঠন করতে কত কত চমৎকার পন্থা আমাদের জানিয়ে দিয়েছেন। 


মহান আল্লাহ আমাদের এসকল কাজগুলো শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে করার তাওফিক দিন।

আমিন।


#Collected

প্রশ্ন: নামাযের ওয়াজিব কয় টি ও কি কি?

 প্রশ্ন: নামাযের ওয়াজিব কয় টি ও কি কি?

উত্তর: নামাযের ওয়াজিব ১৪ টি যেমন:

(১) আলহামদু শরীফ পুরা পড়া..!!

(২) আলহামদুর সঙ্গে সূরা মিলানু..!!

(৩) রুকু সেজদায় দেরী করা..!!

(৪) রুকু হইতে সোজা হইয়া খাড়া হইয়া দেরী করা..!!

(৫) দুই সেজদার মাঝখানে সোজা হইয়া বসিয়া দেরী করা..!!

(৬) দরমিয়ানী বৈঠক..!!

(৭) দোন বৈঠকে আত্তাহিয়্যাতু পড়া..!!

(৮) ইমামের জন্য কেরাত আস্তে এবং জোরে পড়া..!!

(৯) বিতরের নামাযে দু'আয়ে কুনুত পড়া..!!

(১০) দোন ঈদের নামাযে ছয় ছয় তাকবীর বলা..!!

(১১) প্রত্যেক ফরয নামাযের প্রথম দুই রাকাতকে কেরাতের জন্য নির্ধারিত করা..!!

(১২) প্রত্যেক রাকাতের ফরযগুলির তারতীব ঠিক রাখা..!!

(১৩) প্রত্যেক রাকাতের ওয়াজিবগুলির তারতীব ঠিক রাখা..!!

(১৪) আস্সালামু আলাইকুম বলিয়া নামায শেষ করা..!!

মাসআলাহ্: 

নামাযে ভুলবশতঃ কোন ওয়াজিব ছুটিয়া গেলে নামায শেষে সাজদায়ে সাহু করিলে নামায হইয়া যায়। তবে ইচ্ছাকৃত ওয়াজিব তরক করিলে নামায পুনরায় পড়িতে হয়..।

🕋নামাজে আমরা যা বলি, তার অর্থ জানলে নামাজে অন্য চিন্তা মাথায় আসবেনা!!👇

 🕋নামাজে আমরা যা বলি, তার অর্থ জানলে নামাজে অন্য চিন্তা মাথায় আসবেনা!!👇


◾নিয়্যাত করার পর, নামাজের মধ্যে আমরা কি 

     পড়ি, বা বলছি...


১ ) নামাজে দাড়িয়েই প্রথমে আমরা বলি ”আল্লাহু আকবার’

অর্থ – আল্লাহ্ মহান!


২ ) তারপর পড়ি সানা। সানায় আমরা আল্লাহর প্রশংসা করি নিজের জন্য দুয়া করি।


সানা :

”সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা ওয়াতাবারাকাস্মুকা ওয়া তা’আলা যাদ্দুকা ওয়া লা ইলাহা গাইরুকা”

অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি পাক-পবিত্র , তোমারই জন্য সমস্ত প্রশংসা, তোমার নাম বরকতময়, তোমার গৌরব অতি উচ্চ, তুমি ছাড়া অন্য কেহ উপাস্য নাই।


৩ ) তারপর আমরা শয়তানের প্রতারনা থেকে আশ্রয় চাই এবং বলি,

আ‘ঊযু বিল্লা-হি মিনাশ শায়ত্ব-নির রজিম।

অর্থ: বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি।


৪ ) আল্লাহর পবিত্র নাম দিয়ে আল্লাহর দয়া করুণার গুন দিয়ে নামাজ এগিয়ে নিয়ে যাই। এবং বলি, ’বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’

অর্থঃ পরম করুনাময় অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি।


৫ ) এরপর আমরা সূরা ফাতেহা দিয়ে নামাজ শুরু করি ( ২ রাকাত / ৪ রাকাত, ফরয/ সুন্নতের নিয়ম অনুযায়ী নামাজ পড়ি)


৬ ) আমরা রুকুতে আল্লাহ্ -র উদ্দেশ্যে শরীর অর্ধেক ঝুঁকিয়ে দিয়ে মাথা নুয়িয়ে দিয়ে আল্লাহর প্রশংসা করি এবং ক্ষমা চাই, তিনবার বলি, সুবাহানা রব্বি-আল আজিম / সুবহানা রব্বিয়াল আজিম ওয়া বিহামদিহি

অর্থ: আমার মহান রবের পবিত্রতা ও প্রশংসা বর্ণনা করছি।


৭ ) তারপর রুকু থেকে উঠে আমরা বলি

> সামি আল্লাহু লিমান হামিদা

অর্থ : আল্লাহ সেই ব্যক্তির কথা শোনেন, যে তার প্রশংসা করে।


তারপর পরই আমরা আবার আল্লাহর প্রশংসা করে বলি-

>আল্লাহুম্মা ‘রাব্বানা ওয়া লাকাল হামদ’

অর্থ : হে আল্লাহ! যাবতীয় প্রশংসা কেবল তোমারই।


৮ ) তারপর আমরা সমস্ত শরীর নুয়িয়ে দিয়ে মাথাকে মাটিতে লুটিয়ে দিয়ে আল্লাহর নিকট সিজদা দেই।

বি: দ্র: ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য একটি সিজদা করে, আল্লাহ তার জন্য একটি নেকী লেখেন ও তার একটি পাপ দূর করে দেন এবং তার মর্যাদার স্তর একটি বৃদ্ধি করে দেন।‘


তিনবার বলি ‘সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা’

অর্থ: আমার মহান রবের পবিত্রতা বর্ণনা করছি


৯ ) দুই সিজদার মাঝখানে আমরা বলি, ”আল্লাহুম্মাগ ফিরলি,ওয়ার হামনী, ওয়াহদীনি, ওয়া আফিনী, ওয়ার-ঝুকনী”

অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি আমায় মাফ কর, আমাকে রহম কর, আমাকে হেদায়েত দান কর, আমাকে শান্তি দান কর এবং আমাকে রিজিক দাও।


১০ ) এভাবে নামাজ শেষে, মধ্য (২ রাকাত, ৪ রাকাত ভিত্তিতে) বৈঠক আর শেষ বৈঠকে তাশাহুদে, আল্লাহর প্রশংসা করি। রাসুল (সাঃ) এর প্রতি দুরুদ পেশ করে নিজেদের জন্য দুয়া করি। দুআ মাসুরা পড়ি।


🔹তাশাহুদ :

‘আত্তাহিয়্যাতু লিল্লাহি ওয়াস্ সালাওয়াতু, ওয়াত্ তাইয়িবাতু। আস্সালামু ‘আলাইকা আইয়্যুহান নাবীয়্যু ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। আস্সালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিস্ সালিহীন। আশহাদু আল-লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশ্হাদু আননা মুহাম্মাদান আদুহু ওয়া রসুলুহু।


অর্থঃ “সকল তাযীম ও সম্মান আল্লাহর জন্য, সকল সালাত আল্লাহর জন্য এবং সকল ভাল কথা ও কর্মও আল্লাহর জন্য। হে নবী! আপানার প্রতি শান্তি, আল্লাহর রহমত ও তাঁর বরকত বর্ষিত হোক। আমাদের উপরে এবং আল্লাহর নেক বান্দাদের উপরে শান্তি বর্ষিত হোক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই এবং আরো সাক্ষ্য দিচ্ছি মুহাম্মাদ আল্লাহর বান্দা এবং তাঁর রাসূল।”


🔹দুরুদ :


আল্লাহুম্মা সল্লি আলা মুহাম্মাদিও ওয়ালা আলি মুহাম্মাদিন কামা সল্লাইতা আলা ইব্রাহীমা ওয়ালা আলি ইবরহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিওঁ ওয়ালা আলি মুহাম্মাদিন কামা বারক্তা আলা ইব্রাহীমা ওয়ালা আলি ইবরহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ”।


অর্থ: “ হে আল্লাহ! আপনি নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম ও উনার বংশধরদের উপর রহমত বর্ষণ করুন, যেরূপভাবে আপনি ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম ও তার বংশধরদের উপর রহমত বর্ষণ করেছিলেন। নিশ্চয় আপনি প্রশংসিত সম্মানিত।”


🔹দুআ মাসুরা :

আল্লাহুম্মা ইন্নি জলামতু নাফসি যুলমান কাছিরা, ওয়ালা ইয়াগ ফিরূজ যুনুবা ইল্লা আন্তা ফাগফিরলি মাগফিরাতাম মিন ইনদিকা ওয়ার হামনি ইন্নাকা আনতাল গাফুরুর রহিম।


অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আমার উপর অত্যাধিক অন্যায় করেছি গুনাহ করেছি এবং তুমি ব্যতীত পাপ ক্ষমা করার কেউ নেই। সুতরাং তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও। ক্ষমা একমাত্র তোমার পক্ষ থেকে হয়ে থাকে। আমার প্রতি রহম কর। নিশ্চই তুমি ক্ষমাশীল দয়ালু ।


১১ ) ২ কাঁধে সালাম দিয়ে আমরা নামাজ শেষ করি।


১২)  মুসলিম উম্মাহ এর জন্য আল্লাহর দরবারে দোয়া।

ব্যস্ততার কারনে হোক বা তাড়াহুড়োর কারনে হোক, বা যে কোন কারনেই হোক আমরা সব সময় নামাজে গভীর মনোযোগ দিতে ব্যার্থ হই। কিন্তু সব সময় না পারি মাঝে মাঝে তো আমরা মনোযোগ দিতে পারি। তা-ই না ?


এই মনোযোগ বিষয়টা কাজ করবে, যখন আমরা বুঝব যে, নামাজে আমরা কি বলছি।


যখন আমরা নামাজে ব্যবহৃত শব্দ বাক্যগুলোর অর্থ বুঝব বা অনুভব করব তখন মনের মধ্যে স্বাভাবিকভাবে ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া ঘটবে এবং আমাদের সাহায্য করবে নামাজকে আরও বেশি সুন্দর ও খাঁটি করতে।


এরজন্য যে সম্পুর্ন অর্থ মুখস্ত করতে হবে তাও নয়। যদি শুধুমাত্র জানা থাকে এই কিছু অর্থ তাহলেই তা কাজ করবে অসাধারণ ভাবে, ইন-শা- আল্লাহ্।

কথা বলার সময় আমল


 

ঋণ পরিশোধ ও আল্লাহর গায়েবি সাহায্য পাওয়ার কোরআনি আমল।

 ঋণ পরিশোধ ও আল্লাহর গায়েবি সাহায্য পাওয়ার কোরআনি আমল।


চল্লিশ দিন যাবত প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ১১ বার দুরুদ শরীফ পাঠ করবে, এরপর ১১শ' বার  "ইয়া মুগনিউ্য" পাঠ করবে, এরপর ১১ বার সূরা মুযযাম্মেল পাঠ করবে, পুনরায় ১১ বার দুরুদ শরীফ পাঠ করবে। 


যে ব্যক্তি এ আমল করবে, আল্লাহপাক গায়েব থেকে তাকে সাহায্য করবেন। ইনশা আল্লাহ। 


📖📚 তফসীরে নূরুল কোরআন। 

২৯-নং খন্ড ২২৯ নং পৃষ্ঠা।📕

"হে মুমিন গন! তোমরা ধৈর্য্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চিতই আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের সাথে রয়েছেন।"

 يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ اسْتَعِينُواْ بِالصَّبْرِ وَالصَّلاَةِ إِنَّ 

اللّهَ مَعَ الصَّابِرِينَ


"হে মুমিন গন! তোমরা ধৈর্য্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চিতই আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের সাথে রয়েছেন।"

[সুরা বাকারা - ২:১৫৩]


#FEAR_ALLAH 

#we_love_mohammad_ﷺ_challenge

মাকাল বিন ইয়াসার (রা,) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন,

মাকাল বিন ইয়াসার (রা,) থেকে বর্ণিত হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি সকাল বেলা তিন বার “আউজুবিল্লাহিস সামীয়িল আলীমি মিনাশ শাইতানির রাজীম” পড়বে। এরপর সুরা হাশরের শেষ তিন আয়াত তিলাওয়াত করবে। আল্লাহ তাআলা উক্ত ব্যক্তির জন্য ৭০ হাজার ফেরেস্তা নিযুক্ত করেন; যারা উক্ত ব্যক্তির জন্য সন্ধ্যা পর্যন্ত মাগফিরাতের দোয়া করতে থাকে। আর এ সময়ের মাঝে যদি লোকটি মারা যায়, তাহলে সে শহীদের মৃত্যু লাভ করবে। আর যে ব্যক্তি এটি সন্ধ্যার সময় পড়বে, তাহলে তার একই মর্যাদা রয়েছে।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৩০৯০; আবু দাউদ, হাদিস : ২৯২২; মুসনাদ আহমদ, হাদিস : ১৯৭৯৫; কানজুল উম্মাল, হাদিস : ৩৫৯৭)

আর আল্লাহর জন্য ই আসমান ও জমিনের রাজত্ব।


 


































আর আল্লাহর জন্য ই আসমান ও জমিনের রাজত্ব।

আর আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।

(সূরা আল ইমরান-১৮৯)

"আল্লাহর প্রতি সু-ধারণা পোষণ"-উত্তম ইবাদত

 "আল্লাহর প্রতি সু-ধারণা পোষণ"-উত্তম ইবাদত 

 

অন্তরের একটি সহজ ও গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত হলো আল্লাহর প্রতি সু-ধারণা পোষণ করা ও সর্বদা আল্লাহর রহমতের আশায় হৃদয়কে ভরপুর রাখা। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেনঃ“আল্লাহর প্রতি সুধারণা পোষণ করা আল্লাহর সর্বোত্তম ইবাদতের অন্যতম।”(আবু দাউদ, আস-সুনান,ইবনু হিব্বান)


সাম্ভাব্য বিপদের ক্ষেত্রে তো নয়ই, প্রকৃত বিপদের ক্ষেত্রেও মু’মিন কখনোই হতাশ হন না। কারণ মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন:"কষ্টের সাথে স্বস্তি আছে। নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি আছে।” (সূরা ইনশিরাহঃ ৫-৬)


যত কঠিন বিপদ বা সমস্যাই আসুক না কেন, মুমিনের হৃদয়ে অবিচল আস্থা থাকবে যে, তার করুণাময় দয়াময় প্রতিপালক তাকে অবশ্যই সাহায্য করবেন এবং তার জন্য যা কল্যাণকর তারই ব্যবস্থা করবেন।প্রবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন :"একমাত্র কাফির সম্প্রদায় ছাড়া কেউই আল্লাহর দয়া থেকে নিরাশ হয় না।”(সূরা ইউসুফঃ ৮৭)


সকল অবস্থায় ভাল চিন্তা করা, আল্লাহর রহমতে সকল বিপদ কেটে যাবেই এইরূপ সুদৃঢ় আশা পোষণ করা মুমিনের ঈমানের দাবী এবং আল্লাহর অন্যতম ইবাদত ও সাওয়াবের কাজ


আসুন ভাই ও বোনেরা  নিজের পরিবার,বন্ধুসহ সমাজের সর্বস্তরে ইসলামের দাওয়াত পৌছে দিই,অন্তত যেনো আমরা সবাই পরকালে কঠিন বিচারের দিনে আল্লাহর কাছে বলতে পারি"আমরা দুনিয়ায় তোমার সৈনিক ছিলাম,তোমার ইসলাম প্রচারে অংশগ্রহণ করেছিলাম"।মনে রাখবেন  আপনার দাওয়াত শুনে কেও যদি আমল করে তাহলে সমপরিমাণ সওয়াব আপনিও পাবেন,শুধু তাই নয় উপকারী ইলম(জ্ঞান)সাদকায়ে জারিয়ার মতো আপনার আমল নামায় সওয়াব যোগ করবে মৃত্যুর পরেও....প্রতিদিন ২৪ ঘন্টা সময়ের মধ্যে আমরা সবাই যদি মাত্র ১০ মিনিট সোশ্যাল মিডিয়ায় ইসলামের দাওয়াত দিই তাহলে সারাদেশে প্রত্যেক ঘরে ঘরে ইসলামের দাওয়াত পৌছে  যাবে ইনশাআল্লাহ....

“অতএব যখন তুমি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে, তখন আল্লাহর উপর ভরসা কর”

 “অতএব যখন তুমি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে, তখন আল্লাহর উপর ভরসা কর”

[সূরা আল ইমরান ১৫৯]

তাহাজ্জুদ এমন এক নামায, যেখানে ডাকার জন্য মুয়াজ্জিন নয়! স্বয়ং আল্লাহ তায়ালাই প্রথম আসমানে চলে আসেন। সুবহান আল্লাহ,আলহামদুলিল্লাহ 🕋

 তাহাজ্জুদ এমন এক নামায, যেখানে ডাকার জন্য মুয়াজ্জিন নয়! স্বয়ং আল্লাহ তায়ালাই প্রথম আসমানে চলে আসেন। সুবহান আল্লাহ,আলহামদুলিল্লাহ 🕋

আল্লাহ্‌ তায়ালা আমাদের দেবার জন্য ডাকেন- আর আমরা থাকি ঘুমিয়ে..!

.

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন-

“আল্লাহ্‌ তাআলা রাতের শেষাংশে [শেষ তৃতীয়াংশে] নিকটবর্তী আসমানে অবতীর্ণ হয়ে আহবান জানাতে থাকেন’ ‘এমন কেউ কে আছে যে আমাকে ডাকবে, আর আমি তাকে সাড়া দেব এমন কেউ কি আছে যে আমার কাছে কিছু চাইবে- আর আমি তাকে দেব? আমার কাছে ক্ষমা চাইবে আর আমি তাকে ক্ষমা করে দেব।”


[সহিহ বুখারী:১১৪৫]


রাত্রির কিছু অংশ কোরআন পাঠ সহ জাগ্রত থাকুন। এটা আপনার জন্যে অতিরিক্ত। হয়ত বা আপনার পালনকর্তা আপনাকে মোকামে মাহমুদে পৌঁছাবেন। [সুরা বনী-ইসরাঈল - ১৭:৭৯]


তারা ধৈর্য্যধারণকারী, সত্যবাদী, নির্দেশ সম্পাদনকারী, সৎপথে ব্যয়কারী এবং শেষরাতে ক্ষমা প্রার্থনাকারী। [সুরা ইমরান - ৩:১৭]


🕋আস্তাগফিরুল্লাহ🕋

🕋আলহামদুলিল্লাহ 🕋

যেখানে তোমার রব ইব*লি*শের দোয়াও পর্যন্ত ফিরিয়ে দেননি,

 যেখানে তোমার রব ইব*লি*শের দোয়াও পর্যন্ত ফিরিয়ে দেননি,

সেখানে তুমি কেনো হতাশ!

"তুমি তো আল্লাহর প্রিয় নবীর উম্মত!"

ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি

 


আমি খুব আর্থিক সংকটে ছিলাম টানা ২ বছর!

 আমি খুব আর্থিক সংকটে ছিলাম টানা ২ বছর! 

কিছু  ঋন ছিলো যেটা আমাকে দিন রাত প্যারা দিতো। ভাবতাম কবে শোধ করে দিতে পারবো। আল্লাহর কাছে অনেক কান্নাকাটি করেছি। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, ছোট দরুদ, অন্যান্য আমলের পাশাপাশি গভীর রাতে সজাগ হলেই তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ে ফেলতাম। মাঝে মাঝে ধৈর্য্যহারা হয়ে কান্না করতাম, কেন দু'আ কবুল হয় না!!


এরপর যেটা শুরু করলাম দান সাদকা, যখনই হাতে টুকটাক টাকা আসতো মসজিদে বা ফকির মিসকিনকে দান করতাম, এতোকিছুর পরেও যখন কবুল হচ্ছিল না তখন একদিন বৃহস্পতিবার বড় দরুদ (দরুদে ইব্রাহিম) পড়তে শুরু করলাম। সারাদিন ধরে দরুদে ইব্রাহিম পাঠ করলাম। শুক্রবার ফজর নামাজের পর থেকে দরুদে ইব্রাহিম পাঠ করতে থাকলাম.....

আলহামদুলিল্লাহ সকাল ১১ টায় আমার জন্য সুসংবাদ আসে! আমার টাকার ব্যবস্থা হয়ে যায়। আমি অবাক হয়ে গেলাম যে দরুদে ইব্রাহিম এর এতো শক্তি! 


তাই আমি এখন থেকে নামাজ ও দান-সাদকার পাশাপাশি বড় দরুদ (দরুদে ইব্রাহিম) পাঠ করি মন থেকে। যার যেকোনো সমস্যা থাকুক না কেন দরুদে ইব্রাহিম পাঠ করবেন মন থেকে সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। 

(সংগৃহীত)

 


লা- ইলা-হা ইল্লাল্লাহ'-যিকিরের ফযিলত(পর্ব-১)

লা- ইলা-হা ইল্লাল্লাহ'-যিকিরের ফযিলত(পর্ব-১)


জাবির (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন

“সর্বোত্তম যিকর ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ এবং সর্বোত্তম দু‘আ আলহামদুলিল্লাহ।” হাদীসটি সহীহ (সুনানুত তিরমিযী সুনানু ইবনু মাজাহ)


আবু হুরাইরা (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.)বলেছেনঃ“কিয়ামতের দিন সবচেয়ে সৌভাগ্যবান ব্যক্তি আমার শাফা’আত লাভ করবে, যে তাঁর অন্তরের পরিপূর্ণ একাগ্রতা ও বিশ্বস্ততা দিয়ে ‘লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ’বলবে।”(সহীহ বুখারী)


আমর ইবনুল আস (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছিঃ"আমি এমন একটি বাক্য জানি, যে বাক্যটি যদি কেউ তাঁর অন্তর থেকে সত্যিকারভাবে বলে মৃত্যুবরণ করে, তাহলে জাহান্নাম তাঁর জন্য নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। বাক্যটিঃ ‘লা- ইলাহা ইল্লল্লাহ’।” হাদীসটি সহীহ।(মুসতাদরাক হাকিম)


আসুন ভাই ও বোনেরা  নিজের পরিবার,বন্ধুসহ সমাজের সর্বস্তরে ইসলামের দাওয়াত পৌছে দিই,অন্তত যেনো আমরা সবাই পরকালে কঠিন বিচারের দিনে আল্লাহর কাছে বলতে পারি"আমরা দুনিয়ায় তোমার সৈনিক ছিলাম,তোমার ইসলাম প্রচারে অংশগ্রহণ করেছিলাম"।মনে রাখবেন  আপনার দাওয়াত শুনে কেও যদি আমল করে তাহলে সমপরিমাণ সওয়াব আপনিও পাবেন,শুধু তাই নয় উপকারী ইলম(জ্ঞান)সাদকায়ে জারিয়ার মতো আপনার আমল নামায় সওয়াব যোগ করবে মৃত্যুর পরেও....প্রতিদিন ২৪ ঘন্টা সময়ের মধ্যে আমরা সবাই যদি মাত্র ১০ মিনিট সোশ্যাল মিডিয়ায় ইসলামের দাওয়াত দিই তাহলে সারাদেশে প্রত্যেক ঘরে ঘরে ইসলামের দাওয়াত পৌছে  যাবে ইনশাআল্লাহ....


 حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ، نِعْمَ الْمَوْلَىٰ وَنِعْمَ النَّصِيرُ


حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ،


🎯 হাসবুনাল্লাহু ওয়া নিমাল ওয়াকিল পড়ার ফজিলত,, 


মানুষের অবস্থা সব সময় অনুকূলে যায় না। কখনো ভালো যায়, কখনো খারাপ সময় ধেয়ে আসে। তাই যেকোনো বিপদে মুক্তির জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করা চাই। তাহলে আল্লাহ তাআলা বিপদ থেকে রক্ষা করবেন এবং শান্তিতে রাখবেন।


⭕যেকোনো বিপদের সম্মুখীন হলে উল্লিখিত দোয়া বেশি বেশি পড়তে পারেন। এটি আলে ইমরানের ১৭৩ নম্বর আয়াত এবং সুরা আনফালের ৪০ নম্বর  আয়াতের (আবার সুরা হজের ৭৮ নম্বর আয়াত) অংশের মিলিত রূপ।


حَسْبُنَا اللَّهُ وَنِعْمَ الْوَكِيلُ، نِعْمَ الْمَوْلَىٰ وَنِعْمَ النَّصِيرُ


উচ্চারণ : হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াকিল, নি’মাল মাওলা ওয়া নি’মান-নাসির’


অর্থ : আল্লাহ তাআলাই আমাদের জন্য যথেষ্ট, তিনিই হলেন উত্তম কর্মবিধায়ক; আল্লাহ তাআলাই হচ্ছে উত্তম অভিভাবক এবং উত্তম সাহায্যকারী।


💠 আশা করা যায়, আয়াতগুলো পড়ে দোয়া করলে অবশ্যই সেই দোয়া কবুল হবে। যেকোনো অন্যায়-অত্যাচার-অবিচারের শিকার হলে অথবা অন্যায়ভাবে কারাবন্দি থাকলে নিচে উল্লিখিত আয়াতটি বেশি বেশি পড়বে। সঙ্গে আল্লাহ তায়ালার দরবারে আন্তরিকভাবে মুক্তির জন্য দোয়া করবে, তাতে ইনশা আল্লাহ মুক্তি মিলবে।


যেভাবে এই দোয়াটি মিল পেয়েছে...


‘হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াকিল’-অংশটি কোরআনের আয়াত। এটি পড়ার কথা পবিত্র সহিহ হাদিসের মাধ্যমে প্রমাণিত। ইবরাহিম (আ.)-কে আগুনে নিক্ষেপ করা হলো এবং রাসুল (সা.) (মুশরিকদের হামলা হবে এমন খবর শুনে হামরাউল আসাদে) উক্ত দোয়াটি পাঠ করেন (বুখারি, হাদিস : ৪৫৬৩; আলে ইমরান, আয়াত : ১৭৩)


এছাড়াও আল্লাহর রাসুল (সা.) এই বিশেষ দোয়াটি পাঠ করার ব্যাপারে উৎসাহিত করেছেন (তিরমিজি, হাদিস : ৩২৪৩; আল-আহাদিস আস-সাহিহা : ১০৭৯)


আর ‘নি’মাল মাওলা ওয়া নি’মান নাসির’ অংশটিও কোরআনের আয়াত; আল্লাহর প্রশংসাসূচক। (সুরা আনফাল, আয়াত : ৪০; সুরা হজ, আয়াত : ৭৮

৩৩

৩৩

 হে আল্লাহ! 

আমি আশ্রয় চাচ্ছি       বার্ধক্যের চরম পর্যায় থেকে,

দুনিয়ার ফিতনা-ফ্যাসাদ থেকে এবং কবরের আজাব হতে! 

(বুখারি : ৫৮৮৮)


 "জীবনের প্রতিটি চ্যালেঞ্জে আল্লাহর নাম স্মরণ করুন। তাঁর করুণার ছায়ায় আমরা নিরাপদ। কখনো ভেঙে পড়বেন না, কারণ আল্লাহর জন্য আপনার প্রতিটি দুঃখের একটি কারণ আছে, এবং তাঁর পরিকল্পনা সর্বদা সঠিক।"

 হাসান রহ. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, " একদল মানুষ যখল আল্লাহ তা'আলার (বানী নিয়ে) আলোচনা করার উদ্দেশ্যে (কোথাও) বসে, আল্লাহ তাঁর ফেরেশতাদেরকে বলেন, " আমি তাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছি; তাদেরকে করুণার চাদরে আচ্ছাদিত করে দাও"। ফেরেশতারা বলে, " হে আমাদের রব! তাদের মধ্যে তো অমুক ব্যাক্তিও রয়েছে।(__যে ঐ মানের নয়)। আল্লাহ বলেন, "এরা এমন দল যাদের মধ্যে একজন উপবিষ্টকেও হতভাগা করা হবে না"।


মাজমাউয যাওয়াইদ, ১০/৭৭

 বই: রাসুলের চোখে দুনিয়া, পৃষ্ঠা: ৯৮

 💥💥ইসলামী সাধারণ জ্ঞান💥💥


প্রশ্ন: সর্বপ্রথম নবী কে?

উত্তর: আদম (আ.)।

প্রশ্ন: কোন নবীর পিতা-মাতা কেউ ছিল না?

উত্তর: আদম (আ)।

প্রশ্ন: আদম (আ)-এর শারিরীক দৈর্ঘ্য কত ছিলো?

উত্তর: ৬০ হাত।

প্রশ্ন: কোন নবী পিতা ছাড়াই মায়ের গর্ভে এসেছিলেন?

উত্তর: ঈসা (আ.)।

প্রশ্ন: কোন নবী নিজ জাতিকে ৯৫০ বছর দাওয়াত দেন?

উত্তর: নূহ (আ.)।

প্রশ্ন: কোন নবীর মু'জিযা চিরন্তন, যা কখনো বিলীন হবে না এবং সেটা কী?

উত্তর: মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। তা হচ্ছে আল কুরআন।

প্রশ্ন: কোন নবীকে আল্লাহ দীর্ঘকাল কঠিন অসুখ দিয়ে পরীক্ষা করেছিলেন? কিন্তু তিনি ধৈর্য ধারণ করেছিলেন?

উত্তর: আইয়ুব (আ.)।

প্রশ্ন: কোন নবী পশু-পাখী, বাতাসের সাথে কথা বলতেন? 

উত্তর: সুলাইমান (আ.)

প্রশ্ন: পিতা-পুত্র উভয়েই নবী। কিন্তু উভয়কেই ইহুদীরা হত্যা করেছিলো, তারা কারা?

উত্তর: যাকারিয়া ও ইয়াহইয়া (আ.)। প্রশ্ন: কোন নবীকে আল্লাহ আসমানী কিতাব যাবুর দিয়েছিলেন এবং লোহা তাঁর হাতে নরম হয়ে যেত?

উত্তর: দাউদ (আ.) প্রশ্ন: কোন চারজন নবী আরব বংশোদ্ভূত?

উত্তর: হুদ, ছালেহ, শুআইব ও মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)। 

প্রশ্ন: কোন দু'জন সহোদর ভাই দু'জনই নবী?

 উত্তর: ইসমাঈল ও ইসহাক এবং মূসা ও হারুন (আ.)।

প্রশ্ন: কোন নবীকে মাছে গিলে ফেলেছিলো? দু'আ করার পর আল্লাহ তাকে মুক্তি দিয়েছেন?

 উত্তর: ইউনুস (আ.)।

প্রশ্ন: কোন দু'জন নবীর স্ত্রীরা কাফের ছিলো?

উত্তর : নুহ ও লুত (আ.)।

প্রশ্ন: কোন নবীকে আল্লাহ আদ জাতির নিকট প্রেরণ করেছিলেন?

উত্তর: হুদ (আ.)। 

প্রশ্ন: কোন দু'জন নবীকে বৃদ্ধ বয়সে আল্লাহ সন্তান দিয়েছিলেন।অথচ তাদের স্ত্রীগণ বন্ধ্যা ছিলেন? 

উত্তর : ইবরাহীম ও যাকারিয়া (আ.)।

প্রশ্ন: কোন নবীর ছেলেকে কুফরির কারণে আল্লাহ ডুবিয়ে মেরেছিলেন?

উত্তর: নূহ (আ.)-এর ছেলে কেনানকে। 

প্রশ্ন: কোন নবীর সম্প্রদায়ের লোকেরা ওজনে কম দেয়ায় কুখ্যাতি অর্জন করেছিলো?

 উত্তর  শুআইব (আ.)- এর সম্প্রদায়।

প্রশ্ন: পবিত্র কুরআনে কতজন নবীর নাম উল্লেখ আছে?

উত্তর: ২৫ জন।

প্রশ্ন। কোন নারী বন্ধ্যা ও বৃদ্ধা হওয়ার পরও সন্তান লাভ করেছিলেন।

 উত্তর: যাকারিয়া (আ.)-এর স্ত্রী।

প্রশ্ন: কোন নবীকে আল্লাহর কালেমা ও তাঁর রূহ বলা হয়?

উত্তর: ঈসা (আ.)। 

প্রশ্ন: জনৈক মহিয়সী রমণী ও তাঁর সন্তানকে পবিত্র কুরআনে জগতবাসীর জন্য নিদর্শনহিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে? তাঁরা কে কে? 

উত্তর : মারিয়াম বিনতে ইমাম।

 সুদ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন... 


সুদ খাওয়া মারাত্মক অপরাধ। এ জন্যই তো আল্লাহ্ তা‘আলা সুদখোরের সাথে যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছেন। যা অন্য কোন পাপীর সাথে দেননি।


আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন:


«يَآ أَيُّهَا الَّذِيْنَ اٰمَنُوْا اتَّقُوْا اللهَ وَذَرُوْا مَا بَقِيَ مِنَ الرِّبَا إِنْ كُنْتُمْ مُؤْمِنِيْنَ، فَإِنْ لَمْ تَفْعَلُوْا فَأْذَنُوْا بِحَرْبٍ مِّنَ اللهِ وَرَسُوْلِهِ»


‘‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ্ তা‘আলাকে ভয় করো এবং সুদের যা অবশিষ্ট রয়েছে তা বর্জন করো যদি তোমরা মু’মিন হওয়ার দাবি করে থাকো। আর যদি তোমরা তা না করো তাহলে আল্লাহ্ তা‘আলা ও তদীয় রাসূলের সাথে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাও’’। (বাক্বারাহ্ : ২৭৮-২৭৯)


রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন:


الرِّبَا ثَلَاثَةٌ وَّسَبْعُوْنَ بَابًا، وَفِيْ رِوَايَةٍ: حُوْبًا، أَيْسَرُهَا مِثْلُ أَنْ يَنْكِحَ الرَّجُلُ أُمَّهُ، وَإِنَّ أَرْبَى الرِّبَا عِرْضُ الرَّجُلِ الْـمُسْلِمِ.


‘‘সুদের তিয়াত্তরটি গুনাহ্ রয়েছে। তার মধ্যে সর্বনিম্ন গুনাহ্ হচ্ছে, কোন ব্যক্তির নিজ মায়ের সঙ্গে ব্যভিচার করার সমতুল্য গুনাহ্। আর সবচেয়ে বড় সুদ হলো, কোন মুসলিম ব্যক্তির ইয্যত হনন’’।


(ইব্নু মাজাহ্ ২৩০৪, ২৩০৫; হা’কিম : ২/৩৭ সাহীহুল্ জা’মি’, হাদীস ৩৫৩৩)


রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরো বলেন:


دِرْهَمُ رِبَا يَأْكُلُهُ الرَّجُلُ وَهُوَ يَعْلَمُ أَشَدُّ مِنْ سِتَّةٍ وَّثَلَاثِيْنَ زَنْيَةً.


‘‘সুদের একটি টাকা জেনেশুনে খাওয়া ছত্রিশবার ব্যভিচার চাইতেও মারাত্মক’’। (আহমাদ : ৫/২২৫ সাহীহুল্ জা’মি’, হাদীস ৩৩৭৫)


সুদের সম্পদ যত বেশিই হোক না কেন তাতে কোন বরকত নেই।

তিন ব্যক্তির ক্ষেত্রে গীবত হারাম নয়—

 তিন ব্যক্তির ক্ষেত্রে গীবত হারাম নয়—


১। প্রকাশ্য গুনাহগারের ক্ষেত্রে,

২। জা*লিমের ক্ষেত্রে, 

৩। বিদআতির ক্ষেত্রে। 


— হাসান বসরী (রাহিমাহুল্লাহ)

[সূত্র : মাউসুয়াত, ইবনু আবিদ দুনইয়া, ৪/৩৭৯]

রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ দু'আ ব্যতীত অন্য কোন কিছুই ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে না এবং সৎকাজ ব্যতীত অন্য কোন কিছুই হায়াত বাড়াতে পারে না। (জামে' আত-তিরমিজি: ২১৩৯)


 


































রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ দু'আ ব্যতীত অন্য কোন কিছুই ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে না এবং সৎকাজ ব্যতীত অন্য কোন কিছুই হায়াত  বাড়াতে পারে না। (জামে' আত-তিরমিজি: ২১৩৯)

প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোনেরা আমরা চাইলে প্রতিদিনের দোয়ার মধ্যে এই দুটি দোয়া ও শামিল রাখতে পারি আল্লাহ আমি ছাড়া তোমার আরও বান্দা আছে। কিন্তু আমার তুমি ছাড়া আর কোন রব নাই। আর কোন চাওয়ার জায়গা নাই।"

 প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোনেরা 


আমরা চাইলে প্রতিদিনের দোয়ার মধ্যে এই  দুটি দোয়া ও শামিল রাখতে পারি  আল্লাহ আমি ছাড়া তোমার আরও বান্দা আছে। কিন্তু আমার তুমি ছাড়া আর কোন রব নাই। আর কোন চাওয়ার জায়গা নাই।"

.

 "আল্লাহ! তুমিই তো অভাবীদেরকে তাড়িয়ে দিতে নিষেধ করেছো। তাহলে এই অভাবীকে খালি হাতে কেন ফিরিয়ে দিবা?"

.

অদ্ভুত লাগে! আল্লাহর কিছু বান্দা তার রবের সাথে কীভাবে বন্ধুর মত মন খুলে কথা বলে, কত সুন্দর করে চাইতে থাকে।

.

আর সেই মহান রবের ঘোষনা তো আছেই..

.

"কতই না উত্তম বন্ধু তিনি (আল্লাহ), কতই না উত্তম সাহায্যকারী।"

 (সুরাহ হাজ্জ, আয়াত : ৭৮)

৩৩


 বিয়ের পর তিনি স্ত্রীর সাথে ছিলেন মাত্র ৪ দিন। এরপর চলে যান ব্যবসায়িক সফরে। 


সেই যুগে ব্যবসায়িক সফরে যেতে হলে দলবদ্ধভাবে যেতে হতো। বিয়ে করেছেন, কয়েকমাস অপেক্ষা করে যাবেন এই সুযোগ ছিলো না। এখন যেতে না পারলে এই মৌসুমে ব্যবসা হবে না।


ব্যবসায়ীক সফর থেকে ফেরার পথে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। মদীনায় তাঁর আত্মীয়ের বাড়ি। কাফেলাকে বললেন, "আপনারা মক্কায় যান, আমি কিছুদিন এখানে থাকি৷ সুস্থ হবার পর মক্কায় ফিরবো।"


মদীনায় থাকার পর দেখা গেলো তাঁর অসুস্থতা বাড়ছে। সুস্থ হবার লক্ষণই নেই।


বিয়ের পর মাত্র ৪ দিন স্ত্রীকে সময় দেয়া সেই 'যুবক' তখনো জানতেন না যে তিনি কয়মাস পরই 'বাবা' হবেন। 


এই সংবাদ না জেনেই তিনি ইন্তেকাল করেন। 


ঐদিকে মক্কায় অপেক্ষা করছেন তাঁর স্ত্রী। প্রথমে কাফেলার কাছ থেকে জানলেন তাঁর স্বামী অসুস্থ, মদীনায় আছেন, কিছুদিন পর আসবেন।


কিছুদিন পর খবর আসলো তাঁর স্বামী ইন্তেকাল করেছেন।


তিনি ছিলেন কিশোরী। এই বয়সে বিধবা হলেন, সেই কষ্ট চিন্তা করা যায় না। তিনি যে এক সন্তানের মা হবেন, সেই খবরও স্বামীকে জানাতে পারেননি। 


ব্যবসায়ীক সফর শেষে অসুস্থ হয়ে যেই বাবা মদীনায় ইন্তেকাল করেন, এর প্রায় ৫৩ বছর পর সেই মদীনায় তাঁর ছেলে হিজরত করেন। 


বাবা ও ছেলের নাম কি  ?

এখানে বাবা হলেন আবদুল্লাহ ইবনে আবদুল মুত্তালিব, আর ছেলে হলেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)


বেশি বেশি আলহামদুলিল্লাহ পাঠ করুন কেননা

 বেশি বেশি আলহামদুলিল্লাহ পাঠ করুন কেননা, 

"আলহামদুলিল্লাহ" মিজানের পাল্লাকে ভারী করে দেয় এবং 

সর্বোত্তম দোয়া..!!🧡🧡

[ তিরমিজিঃ ৫/৪৬২] 


---------আলহামদুলিল্লাহ..!!🤍

 রাসূল সাঃ যখন প্রথম বিবাহ করেন, তখন তার বয়স ছিল ২৫ বছর। টগবগে যুবক। বিয়ে করেছেন হযরত খাদিজা রাঃ কে। বিয়ের সময় আম্মাজান হযরত খাদিজা রাঃ এর বয়স হয়েছিল ৪০ বছর।


যে আম্মাজান খাদিজা রাঃ এর ইতোপূর্বে দুইবার বিবাহ হয়েছিল। দুইবারই স্বামী ইন্তেকাল করেছেন। পূর্বের স্বামী থেকে তিনজন সন্তানও জন্ম নিয়েছিল।


যদি রাসূল সাঃ নারীলোভীই হতেন [নাউজুবিল্লাহ] তাহলে ২৫ বছরের যুবক হয়ে, দুই দুইবারের বিধবা নারী, তাও ৪০ বছরের মধ্যবয়স্কা নারীকে কেন বিয়ে করলেন?


২৫ বছর বয়সে ৪০ বছর বয়স্কা একজনকে বিবাহ করার পর উক্ত নারীকে নিয়ে যৌবনের পূর্ণ সময় কাটিয়ে দিলেন। বিয়ের পর কেটে গেল আরো ২৫টি বছর।


এ ২৫ বছরের মাঝে তথা হযরত খাদিজা রাঃ এর জীবদ্দশায় রাসূল সাঃ দ্বিতীয় কোন বিবাহ করেননি। তার থেকেই রাসূল সাঃ এর চার কন্যা, যয়নব, রুকাইয়া, উম্মে কুলসুম এবং ফাতিমা রাঃ জন্মগ্রহণ করেন। এবং দুই ছেলে জন্ম নেন।


এছাড়া শুধু মারিয়া কিবতিয়া রাঃ এর গর্ভেই রাসূল সাঃ এর এক সন্তান জন্ম নিয়েছিল। এছাড়া আর কোন স্ত্রীর গর্ভে রাসূল সাঃ এর কোন সন্তান জন্মগ্রহণ করেননি।


হযরত খাদিজা রাঃ যখন ইন্তেকাল করেন, তখন রাসূল সাঃ এর বয়স  হয়েছিল ৫৫ বছর। 

এর মানে বার্ধক্যে উপনীত হয়েছেন নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।


তাহলে যৌবনকাল থেকে বার্ধক্য পর্যন্ত একজন মধ্য বয়স্কা দুইবারের বিধবা নারীকে নিয়ে ঘরসংসার করলেন মহানবী সাঃ। এর মাঝে দ্বিতীয় কোন নারীর দিকে তাকাননি।


তারপরও না*রী-লোভী বলে যে অমানুষগুলো অভিযোগের আঙ্গুল তুলে তাদের রু'চি'বোধ  ও আকল নিয়ে আমাদের সন্দেহ জাগে।


হযরত খাদিজা রাঃ এর ইন্তেকালের পর, রাসূল সাঃ ৫৫ বছর বয়স থেকে ৬৩ বছর বয়স পর্যন্ত মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নানা পারিপার্শিক ও রা*জ*নৈতিক কারণে বাকি দশজন নারীকে বিয়ে করেন। যাদের শুধু একজন ছিলেন কুমারী। বাকি ৯ জনই ছিলেন বিধবা নারী।


এরপরও যারা আমাদের শ্রেষ্ঠ নবী, উত্তম আখলাকওয়ালা ও শ্রেষ্ঠ চরিত্রবান নবীজী সাঃ এর পবিত্র সত্ত্বা নিয়ে অপবাদের খড়গ তুলে তাদের জ্ঞানপাপী বা মু'র্খ ছাড়া আমরা আর কী’বা বলতে পারি? ইয়া রাসুলাল্লাহ আপনার উপর আমার জান কো*রবান হোক।


সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম 🌸❤️

৩৩


৩৩

 "আমি ইচ্ছে করলেই সবাইকে হিদায়ত দান করতে পারতাম। কিন্তু আমার এ কথা অবশ্যই সত্য যে, আমি নিশ্চয়ই জিন ও 'মানুষ' উভয় দ্বারা জাহান্নাম পূর্ণ করবো"!


[সুরা-আস সাজদাহ আয়াত -১৩/

৩৩


 🌸 হাশরের ময়দানে একজন পিতা'কে, "জান্নাতুল ফিরদাউসে" অর্থ্যাৎ "জান্নাতে'র সর্বোচ্চ স্থানে সম্মানিত করা হবে"। 


তিনি ফেরেশতাদের'কে জিজ্ঞেস করবেন, আমি তো দুনিয়ার জীবনে এতো আমল করি নি, আমি এখানে কিভাবে এলাম.?? 


ফেরেশতারা উত্তর দিবেন,,: দুনিয়াতে আপনার সন্তানের "দোয়ার" জন্য আল্লাহ্‌ তায়া'লা আপনাকে ক্ষমা করেছেন এবং জান্নাতুল ফিরদাউসে সম্মানিত করেছেন।

(ইবনে মাজাহ ৩৬৬০)


 সুবহানআল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ্‌!


পিতা মাতার খিদমত কারীর দোয়া কবুল হয়

(বুখারী--৫৯৭৪)

(আমীন)

 স্বামীর আনুগত্য এবং তার সীমা

▬▬▬▬◆◈◆ ▬▬▬▬

প্রশ্ন: স্বামীর আনুগত্য বলতে কি এটা বুঝায় যে, স্বামীর কথামত স্ত্রী চোখ বন্ধ করে তার সব কথা মেনে নেবে?

স্বামী যদি দ্বীন পালন এবং ব্যক্তিগত ব্যাপারে বাধা দেয় তাহলেও কি তার কথা মানতে হবে? যেমন, স্ত্রী রাতে ঘুমানের পূর্বে সূরা মূলক ও অন্যান্য দুআ ও জিকির পড়তে চায় কিন্তু স্বামী ঘুমের পূর্বে এ সব পড়তে দিতে চায় না। অবশ্য সে অন্য সময় কুরআন তিলাওয়াত ও জিকির-আজকারে বাধা দেয় না। 

অনুরূপভাবে স্বামী চায়, স্ত্রী যেন কোন দীনি বোনের সাথে কোন যোগাযোগ না রাখে অথচ দীনি বোনদের সান্নিধ্যে থাকলে ঈমান বৃদ্ধি পায়। এই সকল ব্যাপারে স্ত্রী কি স্বামীর প্রতিবাদ করতে পারবে? দয়া করে জানাবেন।


উত্তর:


স্ত্রী তার স্বামীর আনুগত্য করবে যদি সে হারাম এবং সাধ্যের অতিরিক্ত কোন কাজের আদেশ না করে। সেই সাথে যথাসাধ্য তার সেবা করবে। বিপরীতে স্বামী তার থাকা, খাওয়া, পোশাক, চিকিৎসা, নিরাপত্তা ইত্যাদির ব্যবস্থা করবে। এভাবেই পারষ্পারিক সুসম্পর্কের মাধ্যমে দাম্পত্য জীবনের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা এ বিশ্বটাকে আবাদ রাখেন।


♻ তবে এই আনুগত্যের একটি সীমা রয়েছে। তা হল, স্বামী কখনো স্ত্রীকে আল্লাহর ফরজ ইবাদত পালনে বাধা দিতে পারবে না এবং তাকে হারাম বা সাধ্যের অতিরিক্ত কোন কাজের আদেশ করতে পারবে না। এ ধরণের কাজের আদেশ দিলেও স্ত্রীর জন্য তা মান্য করা আবশ্যক নয়। কারণ ইসলাম বলে, স্রষ্টার  অবাধ্যতা করে সৃষ্টির আনুগত্য করা করা বৈধ নয়।

♻ অনুরূপভাবে স্ত্রী যথাসম্ভব নফল ইবাদতও করতে পারবে। তবে খেয়াল রাখা আবশ্যক যে, এতে যেন স্বামীর খেদমতে বিঘ্ন সৃষ্টি না হয় বা তার বিরক্তির কারণ হয়ে না দাঁড়ায়।

তাইতো হাদিসে স্বামী বাড়িতে থাকা অবস্থায় তার অনুমতি ছাড়া স্ত্রীকে নফল রোযা রাখতে নিষেধ করা হয়েছে। নফল রোযা রাখলেও স্বামী যদি তাকে রোযা ভেঙ্গে দিতে বলে তাহলে তা ভেঙ্গে দিতে হবে।


♻ অনুরূপভাবে স্বামী যদি চায় যে, ঘুমের আগে স্ত্রী দুয়া ও জিকির নিয়ে ব্যস্ত না থাকুক তাহলে স্ত্রীর উচিৎ স্বামীর মনোভাবের দিকে লক্ষ্য রাখা এবং তা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা।

 তবে একজন দ্বীনদার স্বামীর উচিৎ, তার স্ত্রীকে এসব দুআ ও জিকির করতে সুযোগ দেয়া। কিন্তু স্বামী যদি না চায় তাহলে না করাই উত্তম হবে। সে ক্ষেত্রে স্ত্রী স্বামীর সঙ্গ দেয়ার আগে বা পরে দুয়া ও জিকিরগুলো পড়ে নেয়ার চেষ্টা করবে।


♻ আপনি বলেছেন যে, স্বামী স্ত্রীকে ঘুমের সময় ছাড়া অন্য সময় কুরআন তেলাওয়াত ও জিকির-আজকারে বাধা দেয় না। তাহলে  স্ত্রীর উচিৎ সে সব সময়কে যথার্থভাবে কাজে লাগানো।


♻ আর দীনী বোনদের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে বলব, অনেক সময় এ সব দীনী বোনের সাথে যোগাযোগের নামে অনেক বোন ইমো, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ বা ফোন কলে প্রচুর ব্যস্ত হয়ে যায় যা তার সাংসারিক কাজ, সন্তান-সন্তুতি  প্রতিপালন, স্বামীর সেবা ইত্যাদিতে প্রভাব ফেলে। আবার এমনও হয়, এ সব অতিরিক্ত যোগাযোগের কারণে তারা নানা ধরণের ফেতনায় জড়িয়ে পড়ে।

সে ক্ষেত্রে স্বামী যদি এ যোগাযোগকে সীমিত করতে বা বন্ধ করতে চায় তাহলে এটা তার অধিকার আছে। বিষয়টি নির্ভর করছে একজন স্ত্রীর অবস্থার উপর। এ ক্ষেত্রে স্বামীর কথার মূল্যায়ন করা জরুরি। তার কথা লঙ্ঘন করলে হতে পারে, এতে দুজনের মাঝে মনমালিন্য সৃষ্টি হয়ে দাম্পত্য জীবনের সুখ বিনষ্ট হবে।


♻ মোটকথা, ফরজ ইবাদতের ক্ষেত্রে স্ত্রীর জন্য স্বামীর নিষেধ মান্য করা জায়েজ নয়। কিন্তু অন্যান্য নফল ইবাদতে স্বামীর মনোভাবের দিকে লক্ষ্য করে ইবাদত করতে হবে। নফল ইবাদত করতে গিয়ে স্বামীর যেন কোন কষ্ট না হয় বা বিরক্তির কারণ না হয় সেটা লক্ষ রাখা আবশ্যক।

দুআ করি, আল্লাহ তাআলা যেন,  স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সুসম্পর্ক ও প্রেমের সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে দাম্পত্য জীবনকে সুখময় করেন এবং বেশি নেকি ও আল্লাহর সন্তুষ্টি মূলক কার্যক্রম করার মাধ্যমে উভয়কে জান্নাতের মেহমান হিসেবে কবুল করে নেন। আমীন।

●●●●●●●●●●●

উত্তর প্রদানে:

আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলিল

(লিসান্স, মদিনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়)

দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, KSA

#abdullahilhadi

 বান্দা যখন তার ভাইয়ের সাহায্যে নিয়োজিত থাকে,,,

আল্লাহও তখন তার সাহায্যে থাকেন।

সহীহ মুসলিমঃ ২৬৯৯.

হাসান আল বসরি রহিমাহুল্লাহ বলেন, “হে আদম সন্তান! তুমি জমিনের ওপর দাঁড়িয়ে একটু ভাবো, খুব শীঘ্রই এর নিচে তোমার কবর হতে যাচ্ছে।” (মুসান্নাফ আবু শাইবা, ৭/২৩৭)

 হাসান আল বসরি রহিমাহুল্লাহ বলেন,

“হে আদম সন্তান! তুমি জমিনের ওপর দাঁড়িয়ে একটু ভাবো, খুব শীঘ্রই এর নিচে তোমার কবর হতে যাচ্ছে।”


(মুসান্নাফ আবু শাইবা, ৭/২৩৭)

চারটি কাজ রিজিক বাড়িয়ে দেয়-

 চারটি কাজ রিজিক বাড়িয়ে দেয়-


১। রাত জেগে তাহাজ্জুদ পড়া,


২। সূর্য উঠার আগেই আল্লাহর কাছে বেশি বেশি ক্ষমা চাওয়া,


৩। প্রতিদিন দান-সদকা করা,


৪। দিনের শুরুতে ও শেষে আল্লাহর যিকির করা।


- ইমাম ইবনুল কাইয়্যিম (রহ.)


[যাদুল মাআদ, ৪/৩৭৮]

#everyonehighlightsfollowers

 ফজরের নামাজের ৮ উপকার:"!!💞🥀


(১) ফজরের নামাজে দাঁড়ানো, সারা রাত দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ার সমান।


‘যে ব্যক্তি জামাতের সাথে এশার নামাজ আদায় করলো, সে যেন অর্ধেক রাত জেগে নামাজ পড়লো। আর যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ জামাতের সাথে পড়লো, সে যেন পুরো রাত জেগে নামাজ পড়লো।’ (মুসলিম শরিফ)


(২) ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাজ পড়বে, সে আল্লাহর জিম্মায় থাকবে।’ (মুসলিম ৬৫৭)


(৩) ফজরের নামায কেয়ামতের দিন নূর হয়ে দেখা দিবে-


‘যারা রাতের আঁধারে মসজিদের দিকে হেঁটে যায়, তাদেরকে কেয়ামতের দিন পরিপূর্ণ নূর প্রাপ্তির সুসংবাদ দাও।’ (আবু দাউদ)


(৪) সরাসরি জান্নাত প্রাপ্তি-


‘যে ব্যক্তি দুই শীতল (নামাজ) পড়বে, জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর দুই শীতল (নামাজ) হলো ফজর ও আসর।’ (বুখারী)


(৫) রিজিকে বরকত আসবে-


আল্লামা ইবনুল কাইয়িম রহ. বলেছেন, সকালবেলার ঘুম ঘরে রিজিক আসতে বাঁধা দেয়। কেননা তখন রিজিক বন্টন করা হয়।


(৬) ফজরের নামাজ পড়লে, দুনিয়া আখেরাতের সেরা বস্তু অর্জিত হয়ে যাবে-


‘ফজরের দুই রাকাত নামাজ দুনিয়া ও তার মধ্যে যা কিছু আছে, সবকিছুর চেয়ে শ্রেষ্ঠ।’ (তিরিমিযি)


(৭) সরাসরি আল্লাহর দরবারে নিজের নাম আলোচিত হবে-


‘তোমাদের কাছে পালাক্রমে দিনে ও রাতে ফেরেশতারা আসে। তারা আসর ও ফজরের সময় একত্রিত হয়। যারা রাতের কর্তব্যে ছিল তারা ওপরে উঠে যায়। আল্লাহ তো সব জানেন, তবুও ফিরিশতাদেরকে প্রশ্ন করেন, আমার বান্দাদেরকে কেমন রেখে এলে? ফেরেশতারা বলে, আমরা তাদেরকে নামাজরত রেখে এসেছি। যখন গিয়েছিলাম, তখনো তারা নামাজরত ছিল।’ (বুখারি)


(৮) ফজরের নামাজ দিয়ে দিনটা শুরু করলে, পুরো দিনের কার্যক্রমের একটা বরকতম সূচনা হবে-


‘হে আল্লাহ! আমার উম্মতের জন্যে, তার সকাল বেলায় বরকত দান করুন।’ (তিরমিযী)

আপনার সকল সমস্যার সমাধান এবং রিযিক পাওয়ার উপায়!!

 আপনার সকল সমস্যার সমাধান এবং রিযিক পাওয়ার উপায়!!


আল্লাহ তা'আলা বলেছেনঃ 


৬৫ঃ২-৩। আর যেকেউ আল্লাহকে ভয় করে ও তাঁর প্রতি দায়িত্ব পালন করে, তিনি তার জন্য (প্রত্যেক সমস্যা থেকে) বের হয়ে আসার উপায় করে দিবেন এবং তাকে এমন উৎস হতে রিযিক দিবেন যা সে চিন্তাও করেনি।


সুরাহ আত-তালাক্ব ৬৫ঃ২-৩



আল্লাহর কাজ করতে হবে

আল্লাহর দ্বায়িত্ব পালন করতে হবে


 

 সবচেয়ে উত্তম দোয়া হলো

🤲আলহামদুলিল্লাহ🤲

তিরমিযী শরীফঃ ৩৩৮৩.

আমরা কবরস্থানের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কবরবাসীদের সালাম দিয়ে যাই


 


















আমরা কবরস্থানের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কবরবাসীদের সালাম দিয়ে যাই। এই সালামের ফজিলত যে কত ব্যাপক তা আমাদের কারো কারো জানা থাকলেও সবার হয়ত জানা নেই। আসুন একটু জেনে নেই।

আপনি রাস্তা দিয়ে একা বা কারো সাথে কথা বলতে বলতে হাটছেন বা গাড়িতে চড়ে বাইরের দৃশ্য দেখতে দেখতে যাচ্ছেন। হঠাৎ আপনার দৃষ্টি থেমে গেলো রাস্তার পাশের কোন কবর দেখে। মুখ দিয়ে বেরিয়ে এল_

''আসসালামু আ'লাইকুম ইয়া আহলাল কুবুর''

অর্থঃ হে কবরবাসী! আপনাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক।

ঠিক সেই সময়ে  হয়ত সেই কবরবাসী ছিলো আযাবের ফেরেশতাদের অধীনে, আল্লাহর  নির্দেশে যারা মারাত্মক আঘাতে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছিলো সেই কবরবাসীর দেহকে।

কি আশ্চর্য !!!

আপনার কয়েক সেকেন্ডর এই দুয়াতে আল্লাহর আরশ থেকে নির্দেশ এলো তার শাস্তি থামিয়ে দিয়ে তার উপর শান্তি বর্ষণ করার। সাথে সাথেই তার কবর আযাব বন্ধ হয়ে কিছু সময়ের জন্য তার ওপর শান্তি বর্ষিত হল। 

প্রতিটি জীবকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে। তাই অনেক বছর পর আজ আপনিও এখন অন্ধকার কবরের বাসিন্দা। হয়ত আপনার উপরেও চলছে এখন আযাবের ফেরেশতাদের মারাত্মক আঘাত। হঠাৎ করেই তারা আঘাত করা বন্ধ করে দিলো। কিছু সময়ের জন্য আপনি সুকুন পেলেন। 

আপনার মনে পড়ে গেলো ওই যে সেই দিনগুলোর কথা যেদিন আপনি রাস্তার পাশের কবর দেখে এই ছোট্ট দুয়াটি করে যেতেন। আজ সেভাবেই কোনো এক পথিকের ও আপনার কবর দেখে মায়া হলো, আপনার মতো তিনিও সেই ছোট্ট দুয়াটি পড়ে আপনাকে কিছুক্ষণ এর জন্য আযাব থেকে মুক্তি দিলেন।

আপনি যে দুয়া করবেন তা আপনার জন্যও আল্লাহ ফিরিয়ে দিবেন। কেননা, আল্লাহ প্রতিটি ভালো কাজের জন্য উত্তম পুরস্কার দান করেন।

প্রতিদিন আমরা এভাবে কত কবর পার করি। অথচ ভুলেই যাই এরাও একদিন আমাদের মতো দুনিয়ায় বিচরণ করতো। দৈনিক রাস্তা পার হতে ততক্ষন কবর দেখে দুয়া করুন, যতক্ষন আপনি আপনার কবরের আযাব থেকে মুক্তি পেতে চান।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে এই ছোট্ট আমলের তৌফিক দিন।

আমিন...

 দোয়া কবুল হবেই ইনশাআল্লাহ। 

আযান ও ইকামতের মাঝখানে একাগ্রচিত্তে এই দোয়া করে দেখতে পারেন ইনশাআল্লাহ দেখবেন কবুল হয়ে গেছে। 

ইকামত কি এবং এর সময়ঃ

দোয়া কবুলের অন্যতম সময় হলো

 আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী সময় টুকু। 

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম বলেন আযান ও ইকামতের মধ্যবর্তী ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। 

(আবু দাউদ ৫২১. তিরমিজি ২১২)


অনেক বোনের জিজ্ঞাসা ইকামত কী?

আমরা কিভাবে বুঝব একামত কখন হচ্ছে?

মসজিদে আজান হওয়ার ১৫/৩০ মিনিট পর জামাতে নামাজ শুরু হয়। 

জামাতে নামাজ শুরুর পূর্বে আজানের বাক্যগুলো দিয়ে মসজিদে আবার আযান দেওয়া হয় এটাকেই ইকামত বলে। 


আযানের কতক্ষণ পরে ইকামাত শুরু হয়?

১. সাধারণত ফজরের আযানের ৩০ মিনিট পরে জামাতের মাধ্যমে জামাত শুরু হয়ে যায়। 

যেমন বর্তমানে ভোর ৪ঃ৩০ মিনিটে আজান শুরু হয় ও ৫ঃ০০ ইকামাতের মাধ্যমে জামাত শুরু হয়ে যায়।

২. দেশের অধিকাংশ মসজিদে ১ টায় আজান হয়ে ১ টা ৩০ শে ইকামাতের মাধ্যমে জামাত শুরু হয়ে যায়। 

৩. আসরের আযান দেওয়ার ১৫ মিনিট পরেই ইকামাতের মাধ্যমে জামাত শুরু হয়ে যায়। 

৪. মাগরিবের আজান হওয়ার পর পরই ইকামাতের মাধ্যমে জামাত শুরু হয়ে যায়। 

৫. এশার আজান হওয়ার ১৫ মিনিট পর ইকামাতের মাধ্যমে জামাত শুরু হয়ে যায়। 


সাধারণভাবে আজান হওয়ার ১৫ মিনিট পর দোয়া শুরু করতে পারেন। কারণ আজান হওয়ার ১৫ মিনিট আগে কোথাও একামত হয় না, শুধু মাগরিবের নামাজ ছাড়া। 


দোয়ার শুরুতে আল্লাহর প্রশংসা করবেন হোক সেটা সুরা ফাতেহা পড়ার মাধ্যমে বা শুধু প্রথম আয়াত পড়ার মাধ্যমে।

এরপরে দুরুদে ইব্রাহিম পড়বেন যে দুরুদ নামাজের শেষ বৈঠকে পড়া হয়।  

এরপর নিজের মতো করে দেওয়া শুরু করবেন। 

দোয়ার মাঝে একটু পর পর ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়্যুমু বিরাহমাতিকা আস্তাগীছ পড়বেন। 

দোয়ায়ে ইউনুস ও পড়বেন। এবং ৩ বার ইয়া আরহামার রাহিমিন পড়বেন। 


অতঃপর দোয়া যখন শেষ করবেন পূর্বের মত আল্লাহর প্রশংসা ও দুরুদ শরীফ পড়বেন অথবা ইয়া যাল যালালি ওয়াল ইকরাম পড়ে শেষ করবেন। 

অথবা আল্লাহর কোন গুনবাচক নাম দিয়ে। 


অজু করে দোয়া করবেন এবং দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে দোয়া করবেন এটাই উত্তম পদ্ধতি। 


মহান আল্লাহ তায়ালা সবার মনের নেক আশা ও দোয়া গুলো কবুল করুন। আমীন ইয়া রব্বুল আলামীন।

 “হে ঈমানদারগণ!তোমরা ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য চাও;

নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন”


[সূরা বাকারা:১৫৩]

 ভেঙ্গে পড়ো না, নিরাশ হয়ো না, সাহায্য আসবেই এটা আল্লাহর ওয়াদা!

"জেনে রাখো, নিশ্চয়ই আল্লাহর সাহায্য অতি নিকটে"!


[সূরা-বাকারা:২১৪]

 হযরত আয়েশা রা. এর কোন সন্তান ছিলেন না। এমনকী তিনি গর্ভবতী হয়েছিলেন এমন কোন হাদীসও নাই। রাসুলের সবচেয়ে প্রিয়তমা স্ত্রী ছিলেন তিনি। রাসুলকে সাথে নিয়ে, কিংবা নিজে নিজে আল্লাহর কাছে সন্তান চেয়ে দোয়া করেছেন এমন কোন হাদীসও নাই।

রাসুলের ইন্তেকালের সময় আয়েশা রা.-এর বয়স ছিল ১৮ বছর।  নবিজীর ওফাতের পর তিনি প্রায় ৪৮ বছর বেঁচে ছিলেন। এই দীর্ঘ সময় তিনি স্বামী, সন্তান ও সংসার ছাড়াই কাটিয়েছেন। কখনো সন্তান বা সংসারের জন্যে আফসোস করেছেন এমন কোনও হাদীসও নাই।

তিনি জ্ঞানচর্চা করেছেন। আল্লাহর ইবাদত করেছেন। মানুষদের নিয়ে ধর্মীয় আলোচনা করেছেন। ইসলাম প্রচার করেছেন। দ্বীনের খেদমত করেই জিন্দেগী কাটিয়েছেন।


সন্তান না থাকলে, সংসার না থাকলে কোন মেয়ের জীবন থেমে যাবে না। মা হতেই হবে এমন কোন কথা নেই। যারা নিঃসন্তান, সন্তানের জন্য আফসোস করেন আয়েশা রাঃ এর জিন্দেগী থেকে শিক্ষা নিয়ে ধৈর্য ধারন করা উচিৎ।  

আল্লাহ বিভিন্নভাবে তার বান্দা বান্দিদের পরীক্ষা করেন। আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থা রেখে পরীক্ষা দেওয়া উচিৎ। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারলে আল্লাহর পক্ষ থেকে অবশ্যই উত্তম পুরষ্কারের ব্যবস্থা রয়েছে।


সুখে থাকুক পৃথিবীর সব মা। মা হওয়ার আক্ষেপ যাদের কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে তাদের আল্লাহ যেন সবরে জামিল দান করেন।


 

 ঈমানকে তাজা করুন। 🌸☺️


ফেরাউনের এক দাসী ছিল। সে কালেমা পরে গোপনে মুসলমান হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মানুষের ঈমান বেশি সময় গোপন থাকে না। দাসীর ঈমান ফাঁস হয়ে যায়। ফেরাউন তাকে দরবারে তলব করে। দাসীর দুইটি কন্যা সন্তান ছিল ।  


একটি দুগ্ধপোষ্য,অপরটি বড়। ফেরাউন তেল সংগ্রহ করায়। কড়াই আনায়। তারপর আগুই জালিয়ে কড়াইয়ে তেল ঢেলে গরম করতে থাকে।  


তেল ফুটতে শুরু করল। ফেরাউন দরবারে বসিয়ে দাসীকে বলল,''পথ দুটি। মূসার খোদাকে অস্বীকার কর অন্যথায়এই ফুটন্ত তেল বরণ করে নাও।


আগে তোমার সন্তান দুটোকে টগবগে তেলে নিক্ষেপ করব,পরে তোমাকেও।মূসার খোদাকে বাদ দিয়ে আমাকে মেনে নেও,আমি তোমার জীবনটা জান্নাতে পরিণত করে দিব। বলো তোমার সিদ্ধান্ত 

কি?'' 


দাসী বলল,''এরা তো আমার দুটি সন্তান মাত্র।যদি আরো সন্তান থাকত,তুমি যদি তাদের সব জনকে ফুটন্ত তেলে নিক্ষেপ।করতে,তবুও আমি ঈমান থেকে একচুল নড়তাম না। তোমার যা করবার করো,আমি যা করেছি ,বুঝে শুনেই করেছি।  


মূসা আমার নবী আর আল্লাহ আমার রব। আমি তোমাকে খোদা মানতে রাজি নই।'' ফেরাউন প্রথমে মহিলার বড় সন্তানটিকে তুলে টগবগে তেলের কড়াইয়ে নিক্ষেপ করে। মুহূত্যমধ্যে শিশুটি ঝলসে যায়। তারপর দুগ্ধপোষ্য শিশুটিকে কোল থেকে কেড়ে নিয়ে তেলে নিক্ষেপ করে।এই সন্তানটিও ফুটন্ত তেলে সিদ্ধ হয়ে মারা যায়। তবুও দাসী তার ঈমান এ অটল থাকেন।এরপর ফেরাউন মহিলাকে তুলে তেলে নিক্ষেপ করে।


মহিলা অটুট ঈমান নিয়ে মহান আল্লাহর সান্নিধ্যে পৌছে যায়। মি'রাজের রাতে মহানবী (সাঃ) বাইতুল মোকাদ্দাসে দুই রাকাত নামায আদায় করে যখন আকাশের দিকে যাচ্ছিলেন,তখন নিচ থেকে তিনি জান্নাতের ঘ্রাণ অনুভব করেন।তিনি জিবরাইল (আঃ)কে জিজ্ঞেস করেন,''ভাই জিবরাইল,আমি জান্নাতের সুঘ্রাণ পাচ্ছি যে!'' জিবরাইল (আঃ)বললেন,''এই ঘ্রাণ ফেরাউনের দাসীর কবর থেকে আসছে।                 


সুবহান আল্লাহ!🖤

 "যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করো তবে অবশ্যই আমি তোমাদের রিজিক বাড়িয়ে দেব 

(সূরা ইবরাহীমঃ ০৭)

আলহামদুলিল্লাহ

 "  দোয়ার শক্তি এত বেশি যে,তা বান্দার তাকদীর পর্যন্ত বদলে দিতে পারে "

আলহামদুলিল্লাহ 

তিরমিযী -২১৩৯


হে মানুষ, নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য; অতএব দুনিয়ার জীবন যেন তোমাদেরকে কিছুতেই প্রতারিত না করে; আর বড় প্রতারক (শয়*তান) যেন তোমাদেরকে আল্লাহর ব্যাপারে প্র*তারণা না করে।


— সূরা ফাতির, আয়াত : ৫

বিপদে পড়ে আল্লাহকে ডাকুন, তিনি সাড়া দিবেন



 ꧁ ইস্তেগফার ও দুরূদ শরীফের ফজিলত꧂

-------------------------------------------

𖣔 ইস্তেগফারের ফজিলতঃ (আস্তাগফিরুল্লাহ ওয়া আতুবু ইলাইহি)𖣔


১. গুনাহ মাফ হয়।

২. বালা-মুসিবত দূর হয়। 

৩. রিজিক প্রশস্ত হয়। 

৪. পরিবারে শান্তি আসে। 

৫. উপভোগ্য জীবন লাভ হবে। 

৬. শারীরিক শক্তি, ঈমানি শক্তি, ধনবল, জনবল, ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। 

৭. হৃদয় স্বচ্ছ ও নির্মল হয়। 

৮. আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন হয়। 

৯. উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, দুঃখ-দুর্দশা, দুশ্চিন্তা-পেরেশানি দূর হয়।

১০. রহমতের বৃষ্টি বর্ষিত হয়।

১১.ধনসম্পদ বৃদ্ধি হয়

১২. সুসন্তান লাভ হয় (এমনকি যাদের সন্তান হয়না, তাদের নেক সন্তান হবে ইন-শা-আল্লাহ) 

১৩. ক্ষেত, খামার, ফসল, চাকরি, ব্যবসায় বরকত হয়

১৪. নদী-নালা প্রবাহিত হয়।

১৫. সম্মান বৃদ্ধি হয়।

১৬. আজাব-গজব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

১৭. সংকট থেকে উত্তরণের পথ বের হবে। 

১৮. আকষ্মিক দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

১৯. মুস্তাজাবুদ দাওয়ার গুণ অর্জন হয়। (অর্থাৎ, তার সকল দোয়া আল্লাহ তায়ালা কবুল করবেন)

২০. পরকালে জান্নাত লাভ হয়।


[সূরা হুদঃ৩, সুরা হুদঃ৫২, সুরা নূহঃ১০-১২, সুরা আনফালঃ৩৩, সুনানে আবু দাউদ ১৫১৮, সুনানে ইবনে মাজাহ ৩৮১৯ এবং মুসনাদে আহমদ ২২৩৪]


-------------------------------------------


𖣔 দুরূদ শরীফের ফজিলত (দুরূদে ইব্রাহিম) 𖣔


১. প্রতিবার দুরূদ পাঠে দশটি রহমত বর্ষিত হয়।

২. প্রতিবার দুরূদ পাঠে দশটি নেকি লাভ হয়।

৩. প্রতিবার দুরূদ পাঠে দশটি গুনাহ মাপ হয়।

৪. প্রতিবার দুরূদ পাঠে দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি হয়।

৫. পেরেশানি দূর হয়।

৬. রাগ নিয়ন্ত্রণ হয়।

৭. স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়। 

৮. রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যদি তুমি কোন কিছু ভুলে যাও তাহলে আমার উপর দুরূদ পাঠ কর ইন-শা-আল্লাহ সে ভুলে যাওয়া জিনিষ তোমার মনে পড়ে যাবে।

৯. সকল প্রকার বিপদ-আপদ দূরীভূত হয়।

১০. দেহ রোগমুক্ত থাকে, সুস্বাস্থ্য লাভ হয়।

১১. হায়াত বৃদ্ধি পায়।

১২. যাবতীয় অভাব-অনটন মোচন হয়।

১৩. দোয়া কবুল হয় (কোনো দোয়ার মধ্যে দুরূদ অন্তর্ভূত না থাকলে সেই দোয়া আল্লাহ্‌র কাছে পৌঁছায় না।)

১৪.  সকল বিষয়ে উন্নতি সাধন হয়।

১৫. যাবতীয় সমস্যার সমাধান হবে। ( চাকরি হয়না, ব্যবসায় লোকসান, বিয়ে হয়না, সন্তান হয়না, মনের আশা পুরন হয়না অথবা যেকোনো সমস্যার সমাধান হবে।) 

১৬. দ্বীন ও দুনিয়ার সকল উদ্দেশ্য পূর্ণ হবে। ১৭. সমস্ত গোনাহ্ মাপ হবে। 

১৮. স্বপ্নযোগে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দীদার নছিব হয়।

১৯. নিয়মিত বেশি বেশি দুরূদ পাঠকারীর হাশরের মাঠে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর শাফায়াত (সুপারিশ) লাভ হবে। পুলছিরাত পার হওয়া সহজ হবে। 

২০. জাহান্নাম হারাম এবং জান্নাত অনিবার্য হয়ে যাবে। 

[ তিরমিযি, মুসলিম, মেশকাত, নাসাঈ, বায়হাকী, মুয়াত্তা, দারমী ]


-------------------------------------------


★ অবশ্যই ৫ ওয়াক্ত নামায পড়তে হবে। হারাম থেকে বিরত থাকতে হবে।


★ আমরা ২৪ ঘন্টায় মোট ১৪৪০ মিনিট সময় পাই।


★ ২০০ বার ইস্তেগফার (আস্তাগফিরুল্লাহ ওয়া আতুবু ইলাইহি) পড়তে সময় লাগে মাত্র ৬ মিনিট! প্রতি ওয়াক্ত নামাযের পর ২০০ বার ইস্তেগফার পড়লে দিনে ১০০০ বার হয়ে যায়!


★ ১০০ বার দুরূদে ইব্রাহিম পড়তে সময় লাগে মাত্র ২০ মিনিট! প্রতি ওয়াক্ত নামাযের পরে ১০০ বার দুরূদে ইব্রাহিম পড়লে দিনে ৫০০ বার হয়ে যায়।


➡️ যে ব্যাক্তি দিনের বেলায় (সকালে) দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে 'সাইয়্যেদুল ইস্তিগফার' পড়বে আর সন্ধা হওয়ার আগেই সে মারা যাবে, সে জান্নাতী হবে। আর যে ব্যাক্তি রাতের বেলায় (সন্ধ্যায়) দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে 'সাইয়্যেদুল ইস্তেগফার' পড়ে নেবে আর সে ভোর হওয়ার আগেই মারা যাবে সে জান্নাতী হবে। - (বুখারী-৬৩০৬, মিশকাত হা/২৩৩৫ ‘দো‘আ সমূহ’ অধ্যায়-৯, ‘ইস্তিগফার ও তওবা’ অনুচ্ছেদ-৪)


➡️ যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরয নামাযের পরে ‘আয়াতুল কুরসী’ পাঠ করবে, সে ব্যক্তির জন্য তার মৃত্যু ছাড়া আর অন্য কিছু জান্নাত প্রবেশের পথে বাধা হবে না। (নাসাঈ কুবরা ৯৯২৮, ত্বাবারানী ৭৫৩২, সহীহুল জামে ৬৪৬৪)


➡️ যে ব্যক্তি প্রতিদিন রাতের বেলা সূরা মুলক তিলাওয়াত করবে, আল্লাহ তাকে কবরের আজাব থেকে রক্ষা করবেন। - তিরমিজি-২৮৯০, সুনানে আন-নাসায়ী ৬/১৭৯। শায়খ আলবানীর মতে হাদীসটি হাসান সহীহ, সহীহ আত-তারগীব ওয়াল তারহীব ১৪৭৫, মুসতাদরাকে হাকেম ৩৮৩৯, তবারানী ৮৬৫০


★ সূরা মুলক তার তিলাওয়াতকারী ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করবে এবং তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। - সুনানে আত-তিরমিযী ২৮৯১, সুনানে আবু দাউদ ১৪০০/ ১৪০২, মুসনাদের আহমাদ ২/২৯৯, ইবনে মাজাহ ৩৭৮৬।

ইমাম তিরমিযী বলেছেন হাদীসটি হাসান, ইবনে তাইমিয়্যা বলেছেন সহীহ মাজমু ২২/২২৭, শায়খ আলবানীর মতে হাদীসটি সহীহ, সহীহ তিরমিযী ৩/৬, সহীহ ইবনে মাজাহ ৩০৫৩।


➡️ সুরা ফাতেহা এতটাই গুরুত্বপূর্ণ এবং ফজিলতপূর্ণ যে আল্লাহ তা'আলা প্রত্যেক নামাযের প্রত্যেক রাকাআতে সুরা ফাতেহা পড়া ওয়াযিব করে দিয়েছেন!!!


★ সূরা ফাতেহা সকল রোগের জন্য মহাঔষধ। হজরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) বলেন, একবার এক সফরে আমাদের এক সাথি জনৈক গোত্রপতিকে শুধু সুরা ফাতেহা পড়ে ফুঁ দিয়ে সাপের বিষ ঝাড়েন এবং তিনি সুস্থ হয়ে যান। এটা শুনে রাসুলুল্লাহ সাল্লেল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, এটা যে রকিয়্যাহ তা তুমি কেমন করে জানলে? - (বুখারী শরীফ :৫৪০৫, তাফসীরে ইবনে কাসীর)


➡️ তিন ক্বুল (সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক, সুরা নাস) সকাল ও সন্ধ্যায় ৩ বার করে পড়লে সব ধরনের অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকা যাবে ।

- সহীহ তিরমিযী ২৮২৯


★ প্রতি ফরজ সালাতের পর সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস এ তিনটি সুরা একবার করে পাঠ করতে হবে ।

- আবু দাউদ ১৩৬৩


★ রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে ঘুমানোর পূর্বে সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস একবার করে পড়ে হাতে ফুকে সমস্ত শরীরে একবার বুলিয়ে দিতেন । এভাবে তিনি ৩ বার করতেন।

- বুখারী তাওহীদ ৫০৭০


★ জিন ও মানুষের বদনজর থেকে নিরাপদ থাকার জন্য সূরা ফালাক ও নাস পাঠ করে শরীরে ফুকতে হবে। - সহীহুল জামে হা:৪৯২০


আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা সবাইকে আমলগুলো করার তাওফিক দান করুক, আমিন। 🖤

প্রত্যেক ফরয নামাজের পরে আয়াতুল কুরসি

 প্রত্যেক ফরয নামাজের পরে আয়াতুল কুরসি পড়ে বুকে দম দিতে হবে এবং হাতের তালুতে দম দিয়ে মাথা থেকে নিচের দিকে সারা শরীর মাসেহ করতে হবে আর মনে মনে বলতে হবে যে হে আল্লাহ একমাত্র নুরু জীন ছাড়া বাকী সব জ্বীন যেন আমাকে এবং আমার পরিবাবরের সকল সদস্যকে হজরত আজরাইল আ: এর আকৃতিতে দেখতে পায়।  

এভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পরে পাঁচবার, রাতে ঘুমানোর আগে একবার এভাবে প্রতিদিন ছয়বার করে আমলটি করতে হবে।  এজন্য নামাজ মিস করা যাবে না।  আমলও মিস করা যাবে না।  একইভাবে নিজের বাচ্চা কেউ ফু দিতে হবে।  প্রত্যেক ফরয নামাজের পরে নিজেকে এবং বাচ্চাকে ফু দিতে হবে।  ঘুমের সময়ও বাচ্চাকে এবং নিজেকে দম দিতে হবে। 

একা দ্বারে ৪০ দিন করতে হবে এই আমল।  তাহলে কোন জ্বীন রাতে ডিস্টার্ব করতে পারবে না, ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে কিছুই খাওয়াতে পারবেনা, জাদু কুফরি করতে পারবে না। 

আল্লাহ পাক আমাদের সবাইকে এই আমল করার তৌফিক দান করুন আমিন।  লিংকটি শেয়ার করে সবাইকে জানিয়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হলো

লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা

 ১০০ বার দুরুদ, ৪৯৯ বার লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা আবার ১০০ বার দুরুদ। এই আমল এশার নামাজের পরে ঘুমের আগে করতে হবে।  তারপর দোয়া করতে হবে।  যেকোনো সমস্যার সমাধান ইনশাআল্লাহ।


لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ


লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ অর্থ ‘আল্লাহ ছাড়া কোনো ভরসা নেই, কোনো ক্ষমতা বা শক্তি নেই।’ অর্থাৎ মানুষের সক্ষমতা, শক্তি ও সাহস যত বেশিই থাকুক না কেন, আল্লাহর তাআলা না চাইলে মানুষ কিছুই করতে পারে না। আল্লাহ তায়ালা শক্তি ও তাওফিক না দিলে মানুষ কোনো ভালো কাজ করতে সক্ষম নয়, কোনো গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতেও সক্ষম নয়।

যখন মানুষ কোনো বিপদে পড়ে বা বিপদে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়, কোনো গুনাহে জড়িয়ে পড়ার আশংকা তৈরি হয় অথবা কোনো রকম বিপদাপদ ছাড়াই আল্লাহর কাছে সাহায্য ও আশ্রয় প্রার্থনা করার জন্য দোয়াটি পড়া যায়।

‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’ কখন পড়তে হয়...

যখন মানুষ নিজের সক্ষমতার বাইরে কোনো পরিস্থিতি ও কাজের মুখোমুখি হয়, যা সম্পাদন করা তার ওপর কষ্ট-সাধ্য হয়ে পড়ে তখন এই ব্যাকটি পড়তে হয়। এছাড়াও শয়তানের কোনো প্রতারণা ও আক্রমণ থেকে বাঁচার জন্য এই দোয়াটি পড়া হয়।

আবু জর (রা.) থেকে বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) আমাকে একবার বললেন—

‘আমি কি তোমাকে জান্নাতের গুপ্তধনগুলোর একটির সন্ধান দেবো না? আমি বললাম, হ্যাঁ, আল্লাহর রাসুল। তিনি বলেন, ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। (আহমাদ, হাদিস : ২০৮২৯)

হজরত আবু মুসা আশআরি (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুল (সা.) একবার আমাকে বললেন, ‘তোমাকে জান্নাতের অন্যতম ধনভাণ্ডারের কথা কি বলে দেব?’ আমি বললাম, অবশ্যই বলে দিন, হে আল্লাহর রাসুল! তিনি বললেন,

لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللهِ

(লা হাওলা অলা ক্বুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ)। -(বুখারি, হাদিস : ২৯৯২; মুসলিম, হাদিস : ২৭০৪, তিরমিজি, হাদিস : ৩৩৭৪; আবু দাউদ, হাদিস : ১৫২৬)

 টাইমলাইনে রেখে দিতে পারেন কাজে লাগবে ইনশাআল্লাহ।              খতমে শিফা পড়ার নিয়ম। ১। ইস্তেগ্ফার- ১১বার ২। সূরা ফাতিহা- ১০০ বার ৩। দরূদ শ...

Popular Post