꧁ ইস্তেগফার ও দুরূদ শরীফের ফজিলত꧂
-------------------------------------------
𖣔 ইস্তেগফারের ফজিলতঃ (আস্তাগফিরুল্লাহ ওয়া আতুবু ইলাইহি)𖣔
১. গুনাহ মাফ হয়।
২. বালা-মুসিবত দূর হয়।
৩. রিজিক প্রশস্ত হয়।
৪. পরিবারে শান্তি আসে।
৫. উপভোগ্য জীবন লাভ হবে।
৬. শারীরিক শক্তি, ঈমানি শক্তি, ধনবল, জনবল, ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
৭. হৃদয় স্বচ্ছ ও নির্মল হয়।
৮. আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন হয়।
৯. উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা, দুঃখ-দুর্দশা, দুশ্চিন্তা-পেরেশানি দূর হয়।
১০. রহমতের বৃষ্টি বর্ষিত হয়।
১১.ধনসম্পদ বৃদ্ধি হয়
১২. সুসন্তান লাভ হয় (এমনকি যাদের সন্তান হয়না, তাদের নেক সন্তান হবে ইন-শা-আল্লাহ)
১৩. ক্ষেত, খামার, ফসল, চাকরি, ব্যবসায় বরকত হয়
১৪. নদী-নালা প্রবাহিত হয়।
১৫. সম্মান বৃদ্ধি হয়।
১৬. আজাব-গজব থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
১৭. সংকট থেকে উত্তরণের পথ বের হবে।
১৮. আকষ্মিক দূর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
১৯. মুস্তাজাবুদ দাওয়ার গুণ অর্জন হয়। (অর্থাৎ, তার সকল দোয়া আল্লাহ তায়ালা কবুল করবেন)
২০. পরকালে জান্নাত লাভ হয়।
[সূরা হুদঃ৩, সুরা হুদঃ৫২, সুরা নূহঃ১০-১২, সুরা আনফালঃ৩৩, সুনানে আবু দাউদ ১৫১৮, সুনানে ইবনে মাজাহ ৩৮১৯ এবং মুসনাদে আহমদ ২২৩৪]
-------------------------------------------
𖣔 দুরূদ শরীফের ফজিলত (দুরূদে ইব্রাহিম) 𖣔
১. প্রতিবার দুরূদ পাঠে দশটি রহমত বর্ষিত হয়।
২. প্রতিবার দুরূদ পাঠে দশটি নেকি লাভ হয়।
৩. প্রতিবার দুরূদ পাঠে দশটি গুনাহ মাপ হয়।
৪. প্রতিবার দুরূদ পাঠে দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি হয়।
৫. পেরেশানি দূর হয়।
৬. রাগ নিয়ন্ত্রণ হয়।
৭. স্মরণশক্তি বৃদ্ধি পায়।
৮. রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যদি তুমি কোন কিছু ভুলে যাও তাহলে আমার উপর দুরূদ পাঠ কর ইন-শা-আল্লাহ সে ভুলে যাওয়া জিনিষ তোমার মনে পড়ে যাবে।
৯. সকল প্রকার বিপদ-আপদ দূরীভূত হয়।
১০. দেহ রোগমুক্ত থাকে, সুস্বাস্থ্য লাভ হয়।
১১. হায়াত বৃদ্ধি পায়।
১২. যাবতীয় অভাব-অনটন মোচন হয়।
১৩. দোয়া কবুল হয় (কোনো দোয়ার মধ্যে দুরূদ অন্তর্ভূত না থাকলে সেই দোয়া আল্লাহ্র কাছে পৌঁছায় না।)
১৪. সকল বিষয়ে উন্নতি সাধন হয়।
১৫. যাবতীয় সমস্যার সমাধান হবে। ( চাকরি হয়না, ব্যবসায় লোকসান, বিয়ে হয়না, সন্তান হয়না, মনের আশা পুরন হয়না অথবা যেকোনো সমস্যার সমাধান হবে।)
১৬. দ্বীন ও দুনিয়ার সকল উদ্দেশ্য পূর্ণ হবে। ১৭. সমস্ত গোনাহ্ মাপ হবে।
১৮. স্বপ্নযোগে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দীদার নছিব হয়।
১৯. নিয়মিত বেশি বেশি দুরূদ পাঠকারীর হাশরের মাঠে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর শাফায়াত (সুপারিশ) লাভ হবে। পুলছিরাত পার হওয়া সহজ হবে।
২০. জাহান্নাম হারাম এবং জান্নাত অনিবার্য হয়ে যাবে।
[ তিরমিযি, মুসলিম, মেশকাত, নাসাঈ, বায়হাকী, মুয়াত্তা, দারমী ]
-------------------------------------------
★ অবশ্যই ৫ ওয়াক্ত নামায পড়তে হবে। হারাম থেকে বিরত থাকতে হবে।
★ আমরা ২৪ ঘন্টায় মোট ১৪৪০ মিনিট সময় পাই।
★ ২০০ বার ইস্তেগফার (আস্তাগফিরুল্লাহ ওয়া আতুবু ইলাইহি) পড়তে সময় লাগে মাত্র ৬ মিনিট! প্রতি ওয়াক্ত নামাযের পর ২০০ বার ইস্তেগফার পড়লে দিনে ১০০০ বার হয়ে যায়!
★ ১০০ বার দুরূদে ইব্রাহিম পড়তে সময় লাগে মাত্র ২০ মিনিট! প্রতি ওয়াক্ত নামাযের পরে ১০০ বার দুরূদে ইব্রাহিম পড়লে দিনে ৫০০ বার হয়ে যায়।
➡️ যে ব্যাক্তি দিনের বেলায় (সকালে) দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে 'সাইয়্যেদুল ইস্তিগফার' পড়বে আর সন্ধা হওয়ার আগেই সে মারা যাবে, সে জান্নাতী হবে। আর যে ব্যাক্তি রাতের বেলায় (সন্ধ্যায়) দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে 'সাইয়্যেদুল ইস্তেগফার' পড়ে নেবে আর সে ভোর হওয়ার আগেই মারা যাবে সে জান্নাতী হবে। - (বুখারী-৬৩০৬, মিশকাত হা/২৩৩৫ ‘দো‘আ সমূহ’ অধ্যায়-৯, ‘ইস্তিগফার ও তওবা’ অনুচ্ছেদ-৪)
➡️ যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরয নামাযের পরে ‘আয়াতুল কুরসী’ পাঠ করবে, সে ব্যক্তির জন্য তার মৃত্যু ছাড়া আর অন্য কিছু জান্নাত প্রবেশের পথে বাধা হবে না। (নাসাঈ কুবরা ৯৯২৮, ত্বাবারানী ৭৫৩২, সহীহুল জামে ৬৪৬৪)
➡️ যে ব্যক্তি প্রতিদিন রাতের বেলা সূরা মুলক তিলাওয়াত করবে, আল্লাহ তাকে কবরের আজাব থেকে রক্ষা করবেন। - তিরমিজি-২৮৯০, সুনানে আন-নাসায়ী ৬/১৭৯। শায়খ আলবানীর মতে হাদীসটি হাসান সহীহ, সহীহ আত-তারগীব ওয়াল তারহীব ১৪৭৫, মুসতাদরাকে হাকেম ৩৮৩৯, তবারানী ৮৬৫০
★ সূরা মুলক তার তিলাওয়াতকারী ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করবে এবং তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। - সুনানে আত-তিরমিযী ২৮৯১, সুনানে আবু দাউদ ১৪০০/ ১৪০২, মুসনাদের আহমাদ ২/২৯৯, ইবনে মাজাহ ৩৭৮৬।
ইমাম তিরমিযী বলেছেন হাদীসটি হাসান, ইবনে তাইমিয়্যা বলেছেন সহীহ মাজমু ২২/২২৭, শায়খ আলবানীর মতে হাদীসটি সহীহ, সহীহ তিরমিযী ৩/৬, সহীহ ইবনে মাজাহ ৩০৫৩।
➡️ সুরা ফাতেহা এতটাই গুরুত্বপূর্ণ এবং ফজিলতপূর্ণ যে আল্লাহ তা'আলা প্রত্যেক নামাযের প্রত্যেক রাকাআতে সুরা ফাতেহা পড়া ওয়াযিব করে দিয়েছেন!!!
★ সূরা ফাতেহা সকল রোগের জন্য মহাঔষধ। হজরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) বলেন, একবার এক সফরে আমাদের এক সাথি জনৈক গোত্রপতিকে শুধু সুরা ফাতেহা পড়ে ফুঁ দিয়ে সাপের বিষ ঝাড়েন এবং তিনি সুস্থ হয়ে যান। এটা শুনে রাসুলুল্লাহ সাল্লেল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, এটা যে রকিয়্যাহ তা তুমি কেমন করে জানলে? - (বুখারী শরীফ :৫৪০৫, তাফসীরে ইবনে কাসীর)
➡️ তিন ক্বুল (সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক, সুরা নাস) সকাল ও সন্ধ্যায় ৩ বার করে পড়লে সব ধরনের অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকা যাবে ।
- সহীহ তিরমিযী ২৮২৯
★ প্রতি ফরজ সালাতের পর সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস এ তিনটি সুরা একবার করে পাঠ করতে হবে ।
- আবু দাউদ ১৩৬৩
★ রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে ঘুমানোর পূর্বে সুরা ইখলাস, ফালাক ও নাস একবার করে পড়ে হাতে ফুকে সমস্ত শরীরে একবার বুলিয়ে দিতেন । এভাবে তিনি ৩ বার করতেন।
- বুখারী তাওহীদ ৫০৭০
★ জিন ও মানুষের বদনজর থেকে নিরাপদ থাকার জন্য সূরা ফালাক ও নাস পাঠ করে শরীরে ফুকতে হবে। - সহীহুল জামে হা:৪৯২০
আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা সবাইকে আমলগুলো করার তাওফিক দান করুক, আমিন। 🖤
No comments:
Post a Comment