22 October 2024

আজানের জবাব দেওয়ার ফযিলত

 "আজানের জবাব দেওয়ার ফযিলত "


"আজানের জবাব দেওয়ার পদ্ধতি হলো, মুয়াজ্জিন প্রত্যেকটি বাক্য বলে থামার পর শ্রোতা ওই বাক্যটি নিজেও অনুরূপভাবে বলবে। কিন্তু মুয়াজ্জিন 'হাইয়্যা আলাস সালাহ' ও 'হাইয়্যা আলাল ফালাহ' বললে শ্রোতা 'লা হাওলা ওয়া লা কুউওয়াতা ইল্লাবিল্লাহ' বলবে"(সহীহ মুসলিম) 


"মহানবী (সা.) বলেছেন, মুয়াজ্জিনের সওয়াব হলো- মুয়াজ্জিনের আযান শুনে যতগুলো মানুষ নামাজ পড়ছে তাদের সবার সমপরিমাণ সওয়াব অতিরিক্ত হিসাবে, বোনাস হিসাবে পাবে। মুয়াজ্জিনের এতো সওয়াবের কথা শুনে মহানবীর (সা.) সাহাবীরা চিন্তিত হয়ে পড়লেন এই ভেবে যে, মুয়াজ্জিনতো তাদের থেকে অনেক বেশি সওয়াবের অধিকারী হচ্ছে। তখন এক সাহাবী মহানবী (সা.) কে প্রশ্ন করেছিলেন, আমরা কীভাবে মুয়াজ্জিনের মতো অধিক সওয়াবের অধিকারী হতে পারি?জবাবে মহানবী (সা.) বলেছিলেন,যে ব্যক্তি আযানের জবাব দেবেন, তিনিও মুয়াজ্জিনের সমান সওয়াব পাবেন"(আবু দাউদ, তাবারানি) 


এ হাদিস গুলো থেকে স্পষ্ট আযানের জবাব দিলে ওই আযান শুনে যতলোক নামাজ পড়বে সবার সমপরিমান সওয়াব বোনাস হিসেবে পাওয়া যাবে।


আসুন ভাই ও বোনেরা  নিজের পরিবার,বন্ধুসহ সমাজের সর্বস্তরে ইসলামের দাওয়াত পৌছে দিই,অন্তত যেনো আমরা সবাই পরকালে কঠিন বিচারের দিনে আল্লাহর কাছে বলতে পারি"আমরা দুনিয়ায় তোমার সৈনিক ছিলাম,তোমার ইসলাম প্রচারে অংশগ্রহণ করেছিলাম"।মনে রাখবেন  আপনার দাওয়াত শুনে কেও যদি আমল করে তাহলে সমপরিমাণ সওয়াব আপনিও পাবেন,শুধু তাই নয় উপকারী ইলম(জ্ঞান)সাদকায়ে জারিয়ার মতো আপনার আমল নামায় সওয়াব যোগ করবে মৃত্যুর পরেও....প্রতিদিন ২৪ ঘন্টা সময়ের মধ্যে আমরা সবাই যদি মাত্র ১০ মিনিট সোশ্যাল মিডিয়ায় ইসলামের দাওয়াত দিই তাহলে সারাদেশে প্রত্যেক ঘরে ঘরে ইসলামের দাওয়াত পৌছে  যাবে ইনশাআল্লাহ....

No comments:

Post a Comment

 টাইমলাইনে রেখে দিতে পারেন কাজে লাগবে ইনশাআল্লাহ।              খতমে শিফা পড়ার নিয়ম। ১। ইস্তেগ্ফার- ১১বার ২। সূরা ফাতিহা- ১০০ বার ৩। দরূদ শ...

Popular Post