হযরত আয়েশা রা. এর কোন সন্তান ছিলেন না। এমনকী তিনি গর্ভবতী হয়েছিলেন এমন কোন হাদীসও নাই। রাসুলের সবচেয়ে প্রিয়তমা স্ত্রী ছিলেন তিনি। রাসুলকে সাথে নিয়ে, কিংবা নিজে নিজে আল্লাহর কাছে সন্তান চেয়ে দোয়া করেছেন এমন কোন হাদীসও নাই।
রাসুলের ইন্তেকালের সময় আয়েশা রা.-এর বয়স ছিল ১৮ বছর। নবিজীর ওফাতের পর তিনি প্রায় ৪৮ বছর বেঁচে ছিলেন। এই দীর্ঘ সময় তিনি স্বামী, সন্তান ও সংসার ছাড়াই কাটিয়েছেন। কখনো সন্তান বা সংসারের জন্যে আফসোস করেছেন এমন কোনও হাদীসও নাই।
তিনি জ্ঞানচর্চা করেছেন। আল্লাহর ইবাদত করেছেন। মানুষদের নিয়ে ধর্মীয় আলোচনা করেছেন। ইসলাম প্রচার করেছেন। দ্বীনের খেদমত করেই জিন্দেগী কাটিয়েছেন।
সন্তান না থাকলে, সংসার না থাকলে কোন মেয়ের জীবন থেমে যাবে না। মা হতেই হবে এমন কোন কথা নেই। যারা নিঃসন্তান, সন্তানের জন্য আফসোস করেন আয়েশা রাঃ এর জিন্দেগী থেকে শিক্ষা নিয়ে ধৈর্য ধারন করা উচিৎ।
আল্লাহ বিভিন্নভাবে তার বান্দা বান্দিদের পরীক্ষা করেন। আল্লাহর প্রতি অবিচল আস্থা রেখে পরীক্ষা দেওয়া উচিৎ। পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারলে আল্লাহর পক্ষ থেকে অবশ্যই উত্তম পুরষ্কারের ব্যবস্থা রয়েছে।
সুখে থাকুক পৃথিবীর সব মা। মা হওয়ার আক্ষেপ যাদের কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে তাদের আল্লাহ যেন সবরে জামিল দান করেন।
No comments:
Post a Comment