রাসূল সাঃ যখন প্রথম বিবাহ করেন, তখন তার বয়স ছিল ২৫ বছর। টগবগে যুবক। বিয়ে করেছেন হযরত খাদিজা রাঃ কে। বিয়ের সময় আম্মাজান হযরত খাদিজা রাঃ এর বয়স হয়েছিল ৪০ বছর।
যে আম্মাজান খাদিজা রাঃ এর ইতোপূর্বে দুইবার বিবাহ হয়েছিল। দুইবারই স্বামী ইন্তেকাল করেছেন। পূর্বের স্বামী থেকে তিনজন সন্তানও জন্ম নিয়েছিল।
যদি রাসূল সাঃ নারীলোভীই হতেন [নাউজুবিল্লাহ] তাহলে ২৫ বছরের যুবক হয়ে, দুই দুইবারের বিধবা নারী, তাও ৪০ বছরের মধ্যবয়স্কা নারীকে কেন বিয়ে করলেন?
২৫ বছর বয়সে ৪০ বছর বয়স্কা একজনকে বিবাহ করার পর উক্ত নারীকে নিয়ে যৌবনের পূর্ণ সময় কাটিয়ে দিলেন। বিয়ের পর কেটে গেল আরো ২৫টি বছর।
এ ২৫ বছরের মাঝে তথা হযরত খাদিজা রাঃ এর জীবদ্দশায় রাসূল সাঃ দ্বিতীয় কোন বিবাহ করেননি। তার থেকেই রাসূল সাঃ এর চার কন্যা, যয়নব, রুকাইয়া, উম্মে কুলসুম এবং ফাতিমা রাঃ জন্মগ্রহণ করেন। এবং দুই ছেলে জন্ম নেন।
এছাড়া শুধু মারিয়া কিবতিয়া রাঃ এর গর্ভেই রাসূল সাঃ এর এক সন্তান জন্ম নিয়েছিল। এছাড়া আর কোন স্ত্রীর গর্ভে রাসূল সাঃ এর কোন সন্তান জন্মগ্রহণ করেননি।
হযরত খাদিজা রাঃ যখন ইন্তেকাল করেন, তখন রাসূল সাঃ এর বয়স হয়েছিল ৫৫ বছর।
এর মানে বার্ধক্যে উপনীত হয়েছেন নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
তাহলে যৌবনকাল থেকে বার্ধক্য পর্যন্ত একজন মধ্য বয়স্কা দুইবারের বিধবা নারীকে নিয়ে ঘরসংসার করলেন মহানবী সাঃ। এর মাঝে দ্বিতীয় কোন নারীর দিকে তাকাননি।
তারপরও না*রী-লোভী বলে যে অমানুষগুলো অভিযোগের আঙ্গুল তুলে তাদের রু'চি'বোধ ও আকল নিয়ে আমাদের সন্দেহ জাগে।
হযরত খাদিজা রাঃ এর ইন্তেকালের পর, রাসূল সাঃ ৫৫ বছর বয়স থেকে ৬৩ বছর বয়স পর্যন্ত মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নানা পারিপার্শিক ও রা*জ*নৈতিক কারণে বাকি দশজন নারীকে বিয়ে করেন। যাদের শুধু একজন ছিলেন কুমারী। বাকি ৯ জনই ছিলেন বিধবা নারী।
এরপরও যারা আমাদের শ্রেষ্ঠ নবী, উত্তম আখলাকওয়ালা ও শ্রেষ্ঠ চরিত্রবান নবীজী সাঃ এর পবিত্র সত্ত্বা নিয়ে অপবাদের খড়গ তুলে তাদের জ্ঞানপাপী বা মু'র্খ ছাড়া আমরা আর কী’বা বলতে পারি? ইয়া রাসুলাল্লাহ আপনার উপর আমার জান কো*রবান হোক।
সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম 🌸❤️
No comments:
Post a Comment