21 October 2024

তোমরা নিদ্রা যাও এবং যখই নিদ্রা থেকে উঠ সূরাহ আল-ফালাক সূরাটি তোমরা সর্বাদা পড়বে।

 সূরাহ আল-ফালাক :


قُلۡ أَعُوذُ بِرَبِّ ٱلۡفَلَقِ (1) مِن شَرِّ مَا خَلَقَ (2) وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ (3) وَمِن شَرِّ ٱلنَّفَّٰثَٰتِ فِي ٱلۡعُقَدِ (4) وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ (5)


বাংলা  উচ্চারণ :


কুল আউযু বিরাব্বিল ফালাক। মিন শাররি মাখালাক্ব। ওয়া মিন শাররি গাসিক্বিন ইযা অক্বাব। ওয়া মিন শাররিন নাফ্ফাসাতি ফিল্ উকাদ। ওয়া মিন শাররি হাসিদিন ইযা হাসাদ।


অর্থ :


বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি প্রভাতের পালনকর্তার, তিনি যা সৃষ্টি করেছেন, তার অনিষ্ট থেকে, অন্ধকার রাত্রির অনিষ্ট থেকে, যখন তা সমাগত হয়, গ্রন্থিতে ফুঁৎকার দিয়ে জাদুকারিণীদের অনিষ্ট থেকে এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে।


সূরা আল ফালাক এর ফজিলত :


হাদিসে বর্ণিত, আল ফালাক সূরাটি মহান আল্লাহ্‌র নিকট অধিক প্রিয় এবং অধিক গ্রহণযোগ্য। আল ফালাক সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। সূরাটি অধিক পরিমাণে পড়ার কথা হাদিসে বলা হয়েছে। প্রিয় নবী  (সাঃ) বলেছেন, যখই তোমরা নিদ্রা যাও এবং যখই নিদ্রা থেকে উঠ এ সূরাটি তোমরা সর্বাদা পড়বে।  


হাদিসে বর্ণিত আছে, নবী করীম (সাঃ) জ্বিন ও মানুষের বদ নজর থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। যখন আল ফালাক তাঁর উপর নাযিল হয় তখন তিনি এ সূরাই অবলম্বন করলেন এবং আশ্রয় প্রার্থনা করা বন্ধ করে দেন।


অন্য এক হাদিসে আছে, নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, তোমরা সূরা ফালাক পড়তে থাক। কেননা, আল্লাহ্‌র নিকট এর চেয়ে অধিক প্রিয় এবং অধিক দ্রুত গ্রহণযোগ্য আর কোন সূরা তোমরা পড়তে পারবে না। সুতরাং যথাসম্ভব তোমরা এ সূরা পড়া ছেড়ে দিও না।

No comments:

Post a Comment

 টাইমলাইনে রেখে দিতে পারেন কাজে লাগবে ইনশাআল্লাহ।              খতমে শিফা পড়ার নিয়ম। ১। ইস্তেগ্ফার- ১১বার ২। সূরা ফাতিহা- ১০০ বার ৩। দরূদ শ...

Popular Post