05 August 2025

 টাইমলাইনে রেখে দিতে পারেন কাজে লাগবে ইনশাআল্লাহ।

             খতমে শিফা পড়ার নিয়ম।


১। ইস্তেগ্ফার- ১১বার

২। সূরা ফাতিহা- ১০০ বার

৩। দরূদ শরীফ- ১০০ বার

৪। সূরা আলাম নাশরাহ- ৭৯ বার

৫। সূরা ইখলাছ- ১০০০ বার

৬। পুনরায় সূরা ফাতিহা- ৭বার

৭। পুনরায় দরূদ শরীফ- ১০০বার

৮। তারপর এই দোয়া (একশত বার): فَسَهِّلْ يَا اِلٰهِىْ كُلَّ صَعْبٍ بِحُرْ مَتِ سَيِّدِ الْاَ بْرَارِ سَهِّلْ سَهِّلْ بِفَضْلِكَ يَاعَزِيْزُ‎

উচ্চারণ: ফাসাহ্হিল ইয়া ইলাহি কুল্লা ছা’বিন বিহুরমাতি সায়্যেদিল আবররি সাহ্হিল- সাহ্হিল বিফাদ্বলিকা ইয়া আজীজ। অত:পর

৯। يَا قَاضِىَ الْحَاجَاتْ ইয়া ক্বদ্বিয়াল হাযাত- ১০০বার

১০। يَا كَفِىَ الْمُهِمَّاتْ ইয়া কাফিয়াল মুহিম্মাত- ১০০বার

১১। يَا دَافِعَ الْبَلِيَّاتْ ইয়া দাফিয়াল বালিয়্যাত- ১০০বার

১২। يَا مُجِيْبَ الدَّعْوَاتْ ইয়া মুযিবাদ দা’ওয়াত- ১০০বার

১৩। يَا رَافِعَ الدَّرَجَاتْ ইয়া রাফিয়াদ্ দারযাত- ১০০বার

১৪। يَا حَلَّالَ الْمُشْكِلَاتْ ইয়া হাল্লালাল্ মুশ্কিলাত্- ১০০বার

১৫। يَا مُسَبِّبَ الْاَسْبَابْ ইয়া মুসাব্বিবাল আসবাব- ১০০বার

১৬।   ياشافی الامراض ইয়া শাফিয়াল আমরাজ- ১০০বার

১৭। يَا مُفَتِّحَ الْاَبْوَابْ ইয়া মুফাত্তিহাল্ আব্ওয়াব- ১০০বার

১৮। رَبِّ اِنِّىْ مَغْلُوْبٌ فَانْتَصِرْ রব্বি ইন্নি মাগ্লুবুন ফানতাছির- ১০০বার

১৯। يَا غَوْثُ اَغِثْنِىْ وَاَمْدُدْنِىْ ইয়া গউছু আগিছ্নী ওয়া আম্দুদ্নীয়া- ১০০বার

২০। اِنَّالِلّٰهِ وَاِنَّااِلَيْهِ رَاجِعُوْنْ ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন- ১০০বার

২১। لَااِلٰهَ اِلَّاۤ اَنْتَ سُبْحَانَكَ اِنِّىْ كُنْتُ مِنَ الظّٰلِمِيْنْ লা-ইলাহা ইল্লা আ আংতা সুব্হানাকা ইন্নি কুংতু মিনাজ জোয়ালিমীন- ১০০বার‎

২২। فَاسْتَجَبْنَا لَهٗ وَنَجَّيْنٰهُ مِنَ الْغَمِّ وَكَذٰ لِكَ نُنْجِى الْمُؤْمِنِيْنْ ফাসতাজাবনা লাহু ওয়ানাজ্জাইনাহু মিনাল গম্মি ওয়া কাজালিকা নুনজিল মু’মিনীন- ১০০বার‎

২৩। يَا اَرْ حَمَ الرَّحِمِيْنْ ইয়া আরহামার রহিমিন- ১০০বার‎

২৪। অতঃপর ১০০বার দরূদ শরীফ পাঠ করে খতম শেষ করে খালেছ দিলে মুনাজাত করবে, ইনশাআল্লাহ্, আল্লাহপাক কবুল করবেন এবং এর ফলাফল প্রত্যক্ষ হতে থাকবে।

11 July 2025

সুরা ফাতিহা পবিত্র কুরআনের প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সুরা।

সুরা ফাতিহা পবিত্র কুরআনের প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সুরা। এর অনেক নাম রয়েছে, যেমন: উম্মুল কিতাব (কিতাবের জননী), উম্মুল কুরআন (কুরআনের জননী), সাব'উল মাসানি (বারবার পঠিত সাত আয়াত), শেফা (আরোগ্য), রুকইয়াহ (ঝাড়ফুঁক), ইত্যাদি। এর ফজিলত ও গুরুত্ব অপরিসীম, যা অসংখ্য হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। নিচে এর কিছু উল্লেখযোগ্য ফজিলত তুলে ধরা হলো:

১. নামাজের স্তম্ভ:

সুরা ফাতিহা ছাড়া নামাজ অসম্পূর্ণ। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "যে ব্যক্তি তার নামাজে সুরা ফাতিহা পড়ে না, তার নামাজ অসম্পূর্ণ, অসম্পূর্ণ, অসম্পূর্ণ।" (মুসলিম)। এটি নামাজের প্রতিটি রাকাতে পাঠ করা ফরজ। এর মাধ্যমে নামাজ আল্লাহ তাআলার সাথে বান্দার এক বিশেষ কথোপকথন হয়ে ওঠে।

২. কুরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ সুরা:

সুরা ফাতিহা কুরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ সুরা। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "আমি তোমাকে কুরআনের সর্বশ্রেষ্ঠ সুরা শিখাবো না কি?" তারপর তিনি সুরা ফাতিহা উল্লেখ করেন। (বুখারী, তিরমিজি)। এর কারণ হলো, এই সুরাটি কুরআনের সকল মৌলিক বিষয়কে সংক্ষিপ্ত আকারে ধারণ করে।

৩. শিফা বা আরোগ্য:

সুরা ফাতিহাকে 'শেফা' বা আরোগ্য হিসেবে গণ্য করা হয়। এটি শারীরিক ও আত্মিক উভয় ধরনের রোগের জন্য মহৌষধ। বিভিন্ন হাদিসে সুরা ফাতিহা দিয়ে ঝাড়ফুঁক করে রোগ সারানোর ঘটনা বর্ণিত হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজেও এর দ্বারা ঝাড়ফুঁকের অনুমোদন দিয়েছেন। হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রা.) এর ঘটনা এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ, যেখানে তিনি সুরা ফাতিহা পড়ে সাপের বিষ নামিয়েছিলেন। (বুখারী, মুসলিম)।

৪. বিশেষ নূর বা আলো:

সুরা ফাতিহা এবং সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত এমন দুটি বিশেষ নূর, যা পূর্ববর্তী কোনো নবীকে দেওয়া হয়নি। এক হাদিসে এসেছে, একজন ফেরেশতা রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে এই সুরা ও আয়াতগুলোর সুসংবাদ দেন এবং বলেন যে, এগুলোর প্রতিটি হরফের জন্য নেকী রয়েছে। (মুসলিম)।

৫. আল্লাহর সাথে কথোপকথন:

হাদিসে কুদসীতে এসেছে যে, আল্লাহ তাআলা বলেছেন, "আমি সালাতকে (সুরা ফাতিহাকে) আমার ও আমার বান্দার মধ্যে দু'ভাগে ভাগ করেছি। অর্ধেক আমার জন্য এবং অর্ধেক আমার বান্দার জন্য। আর আমার বান্দা যা চায়, তাই পাবে।" যখন বান্দা 'আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন' বলে, তখন আল্লাহ বলেন, "আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে।" এভাবে প্রতিটি আয়াতের জবাব আল্লাহ তাআলা স্বয়ং দেন। (মুসলিম)। এটি বান্দা ও আল্লাহর মধ্যকার সম্পর্ককে আরও গভীর করে তোলে।

৬. দোয়া কবুলের মাধ্যম:

সুরা ফাতিহাতে আল্লাহর প্রশংসা, তার প্রতি কৃতজ্ঞতা, তার সাহায্য চাওয়া এবং সরল পথের জন্য দোয়া করা হয়। এটি একটি جامع দু'আ যা আল্লাহকে সন্তুষ্ট করে এবং বান্দার সকল প্রয়োজন পূরণে সহায়ক হয়। হযরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত আছে যে, কোনো বিপদগ্রস্ত ব্যক্তি এক হাজার বার সুরা ফাতিহা পাঠ করলে তার বিপদ দূর হয়ে যায়।

৭. সর্বব্যাপ্ত অর্থ:

সুরা ফাতিহা আল্লাহ তাআলার একত্ববাদ, তাঁর গুণাবলী, বিচার দিবসের বর্ণনা, এবং হেদায়েতের জন্য বান্দার আকুতিকে একত্রিত করে। এটি একজন মুসলমানের জীবনে অনুসরণীয় আদর্শ ও পথনির্দেশনার সংক্ষিপ্ত রূপ।

নিয়মিত সুরা ফাতিহা পাঠ করা এবং এর অর্থ অনুধাবন করা মুমিনের জীবনে শান্তি, বরকত ও কল্যাণ বয়ে আনে। এটি শুধু নামাজকে পূর্ণতা দান করে না, বরং আল্লাহর সাথে বান্দার আত্মিক সম্পর্ককেও মজবুত করে।

 

Don't track my visit

 Don't track my visit

Theme - Mobile - Desktop

 Theme - Mobile - Desktop

02 June 2025

 আল্লাহর রাসূল (সা.) বলেছেন- 'যখন কোনো বান্দা মিসওয়াক করে সালাতে দাঁড়ায়, তখন তার পেছনে একজন ফেরেশতা দাঁড়িয়ে যায়। সে তার তিলাওয়াত শুনতে থাকে। ফেরেশতা উক্ত বান্দার এতটাই নিকটে আসে যে, তার মুখের সাথে মুখ লাগিয়ে নেয়। বান্দার মুখ থেকে নিঃসৃত হওয়া কুরআনের বাণী সরাসরি ফেরেশতার হৃদয়ে পৌঁছে যায়। এভাবে বান্দার জবান বিশুদ্ধ হয়। [ ইবনুল বাজ্জার]


'আমি যদি আমার উম্মতের জন্য কঠিন মনে না করতাম, তাহলে প্রতি ওয়াক্ত সালাতের আগে মিসওয়াক করার আদেশ দিতাম। [বুখারী]


'মিসওয়াকের মাধ্যমে জবান পবিত্র হয়। আর এর মাধ্যমে আল্লাহ খুশি হন। [নাসায়ি]


সালাতে আমরা যেমন নিজেদের শরীরকে ঢেকে নিই, তেমনি আল্লাহ তায়ালাও আমাদের পাপসমূহ ঢেকে রাখেন। কারণ, তাঁর একটি সিফাতি নাম হচ্ছে আস-সাত্তার (যিনি বান্দার দোষ গোপন রাখেন)। সালাতে দাঁড়িয়ে আমাদের এমনসব গোপন পাপ নিয়ে ভাবা উচিত-যা শুধু আল্লাহই জানেন। এতে করে সালাতে লাজুক ভাব ও বিনয় সৃষ্টি হবে, হৃদয়জুড়ে অনুশোচনার ঝড় বইবে।


বই: সালাত যখন খুশবু ছড়ায়

28 May 2025

 জিলহজের চাঁদ দেখা গেছে, আলহামদুলিল্লাহ। এর মাধ্যমে এক মহিমান্বিত দশকে প্রবেশ করলাম আমরা। 


রমাদানের পরে ইবাদেতের সবচেয়ে বড় মৌসুম হলো জিলহজের প্রথম দশক। রাসুল (সা.) বলেছেন, আল্লাহর নিকট অন্য যে কোনো সময়ের আমলের চেয়ে জিলহজের প্রথম দশকের আমল অধিক প্রিয় [সহিহ বুখারি]। 


তাই আসুন, এই শ্রেষ্ঠ দশককে ইবাদতের সৌরভে ভরিয়ে তুলি।

27 May 2025

 যাদের দোয়া কবুল হচ্ছে না তারা জিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০দিন কোমর বেঁধে নামুন! প্রতিটি রাত শবে ক্বদরের রাতের মতো উত্তম।


জিলহজ্জ মাসের চাঁদ উঠার পর থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত দিনে রোজা পালন করা, রাতে বেশি বেশি ইবাদত করা উচিত। যেমন- নফল নামাজ, কুরআন তেলাওয়াত, তাসবিহ-তাহলিল, দোয়া-দরুদ, তওবা-ইস্তিগফার ইত্যাদি।

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত নবীজি(ﷺ) বলেন, ‘জিলহজ্জের ১০ দিনের ইবাদত আল্লাহর নিকট অন্য দিনের ইবাদতের তুলনায় বেশি প্রিয়, প্রতিটি দিনের রোজা এক বছরের রোজার মতো আর প্রতি রাতের ইবাদত লাইলাতুল কদরের ইবাদতের মতো।’ 


(তিরমিজি, খণ্ড-১, পৃষ্ঠা: ১৫৮)

15 March 2025

 সুরা কাফিরুন‌। 


পবিত্র কোরআনের ১০৯ নম্বর । ছোট ছোট মাত্র ৬ টা আয়াত । এ সুরা পাঠের পুরস্কার জানলে আপনি না পড়ে থাকতেই পারবেন না । আর রমজান তো কোরআন পাঠের মোক্ষম সময়। 


১. সুরা কাফিরুন সমগ্র কুরআনের চতুর্থাংশের সমান ।


রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন: “সুরা কাফিরুন কুরআনের এক চতুর্থাংশের সমান।”


(তিরমিজি: ২৮৯৩, সহিহুল জামে: ৪৪৭৪ - হাসান)


২. প্রতিদিন ফজরে ।


"আবু হুরাইরা রাঃ থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাঃ ফজরের সুন্নতের দুই রাকাতে প্রথম রাকাতে 'সুরা কাফিরুন' এবং দ্বিতীয় রাকাতে 'সুরা ইখলাস' পাঠ করতেন।"


(সহিহ মুসলিম: ৭২৬, আবু দাউদ: ১২৫৮, তিরমিজি: ৪১৩, নাসাঈ: ৯৪৫, ইবনে মাজাহ: ১১৪৭)


৩. প্রতিদিন মাগরিবে ।


"ইবনে উমর রাঃ বলেন: আমি ২৪ বা ২৫ বার লক্ষ্য করেছি যে,  রাসূলুল্লাহ সাঃ মাগরিবের পর দুই রাকাত নামাজ পড়তেন এবং তাতে প্রথম রাকাতে 'সুরা কাফিরুন' ও দ্বিতীয় রাকাতে 'সুরা ইখলাস' পাঠ করতেন।"


(মুসনাদ আহমদ: ৫৬৭২, ইবনে হিব্বান: ২৫৭৯, বাইহাকি: ৪৪৪২, হাকিম: ১/২৬৮ - সহিহ বলেছেন)


৪. কাবা তাওয়াফ শেষে ।


"রাসুলুল্লাহ সাঃ যখন তাওয়াফ শেষ করতেন, তখন মাকামে ইবরাহিমের পেছনে দুই রাকাত নামাজ পড়তেন। প্রথম রাকাতে তিনি 'সুরা কাফিরুন' এবং দ্বিতীয় রাকাতে 'সুরা ইখলাস' পাঠ করতেন।"

(সহিহ মুসলিম: ১২১৮, তিরমিজি: ৮৬৯, নাসাঈ: ২৯১৯)


৫. শিরক থেকে মুক্তির ঘোষণা ।


হাদিসে এসেছে, "রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন সুরা কাফিরুন পড়ো, কারণ এটি শিরক থেকে মুক্তির ঘোষণা।"

(আহমদ: ১৭৩০৬, বাইহাকি: ৪৪১৬ - সহিহ)


৬. ঘুমোতে যাওয়ার আগে ।


"নবিজী সাঃ যখন বিছানায় যেতেন, তখন সুরা কাফিরুন পড়তেন এবং বলতেন, 'এটি শিরকমুক্ত থাকার ঘোষণা।'"

(আবু দাউদ: ৫০৫৫, তিরমিজি: ৩৪০৩ - হাসান সহিহ)


৭.  জান্নাতে প্রবেশের সুসংবাদ ‌


এক ব্যক্তি নবী সাঃ কে জিজ্ঞাসা করলেন:

"ইসলামে সবচেয়ে উত্তম কাজ কী?"

তিনি বললেন: "সুরা কাফিরুন পড়ো যখন তুমি ঘুমাতে যাবে, কারণ এটি শিরকমুক্ত থাকার দলিল, আর এটি পড়লে তুমি জান্নাতে প্রবেশ করবে।"

(বায়হাকি: ৪৪১৭ - হাসান)

01 March 2025

 বিশ্বাস করেন! সারাজীবনের সকল গুনাহ মাফের জন্য প্রোডাক্টিভ একটা রমাদান পাওয়া অনেক বড় নেয়ামত। তাই এবারের রমাদান হোক জীবনের সেরা রমাদান। 


রমাদান প্ল্যানার এর ছোট পরিকল্পনা সংগ্রহ করে ডিজাইন করলাম আলহামদুলিল্লাহ। এটা থেকে আইডিয়া নিয়ে আপনি আপনার মত উপযোগী আমল কমবেশি করে আপনার রমাদানের পরিকল্পনা সাজিয়ে নিতে পারেন।


সবাই বেশি বেশি আমল করবেন এবং দ্বীনের পথে স্থির থাকবেন ইনশাআল্লাহ।  দু'আ করবেন আল্লাহ যেন আপনার এবং আমাদের ভালো কাজগুলো কবুল করেন।



13 November 2024

তাহাজ্জুদ কি অসম্ভবকে সম্ভব করে?

 তাহাজ্জুদ কি অসম্ভবকে সম্ভব করে?

আপনি যা চান তার জন্য তাহাজ্জুদ নামায পড়ুন। আল্লাহ অসাধ্য সাধন করতে পারেন । শুধু তাওয়াক্কুল করুন এবং কখনই আপনার দু'আ ছেড়ে দেবেন না। সর্বদা মনে রাখবেন, আল্লাহ যদি আপনার দুআ কবুল করতে না চান, তবে আল্লাহ আপনাকে প্রথমে এটি করার জন্য নির্দেশনা দিতেন না।

এশার নামাজের পর তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া যাবে কি?

 এশার নামাজের পর তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া যাবে কি?

উত্তর : পড়া যায়। তবে, নিয়ম হলো রাতের সব ধরণের নামাজের শেষে বিজোড় বা বিতির পড়া। অবশ্য কেউ যদি ইশার পর বিতির পড়ে নেয়, এর পর তাহাজ্জুদ পড়ার সুযোগ পায়, তবে তার জন্য তাহাজ্জুদ পড়তে কোনো বাধা নেই।Jul 29, 2024

তাহাজ্জুদের ওয়াক্ত শেষ কখন?

 তাহাজ্জুদের ওয়াক্ত শেষ কখন?

মধ্যরাতের পরে বা রাতের দুই-তৃতীয়াংশ অতিবাহিত হলে তাহাজ্জুদ নামাজের ওয়াক্ত শুরু হয়। রাত দুইটার পর থেকে ফজরের নামাজের ওয়াক্ত আরম্ভ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তাহাজ্জুদের ওয়াক্ত। সাহরির সময় শেষ হলে তথা ফজরের ওয়াক্ত শুরু হলে তাহাজ্জুদের ওয়াক্ত শেষ হয়।

তাহাজ্জুদের সঠিক সময় কি?

 তাহাজ্জুদের সঠিক সময় কি?

তাহাজ্জুদ নামাজ রাতের শেষ তৃতীয়াংশে পড়া উত্তম। তবে ঘুম থেকে না জাগার সম্ভাবনা থাকলে ইশার নামাজের পর দুই রাকাত সুন্নত ও বিতরের আগে তা পড়ে নেয়া জায়েজ আছে। এ নামাজের রাকাত সংখ্যা সর্বনিম্ন দুই রাকাত আর সর্বোচ্চ ১২ রাকাত পড়া উত্তম।

৪১ দিনের তাহাজ্জুদ নামাজ পড়লে কি হয়

 ৪১ দিনের তাহাজ্জুদ নামাজ পড়লে কি হয়?

তাহাজ্জুদ নামাজ টানা ৪০ দিন আদায় করেন বিশাল সওয়াব রয়েছে। আল্লাহর কাছে যা চাওয়া হবে অবশ্যই আল্লাহ তাআলা দিবেন। পৃথিবীর যে কোনো সমস্যা আল্লাহর কাছে চাইলে আল্লাহ ফিরিয়ে দিবেন না।

08 November 2024

 অনেকেই জিজ্ঞেস করেছে কি কি দু'আ করবো?!

চাওয়ার কোনো শেষ নেই! যতোবেশী চাইবেন আল্লাহর কাছে আল্লাহ্‌ আপনার প্রতি ততো বেশী খুশী হবেন ইনশাআল্লাহ্! যে আল্লাহর কাছে চায়না আল্লাহ্‌ তার প্রতি নারাজ হন। যা কিছু চাওয়ার শুধুমাত্র আল্লাহর কাছে চাইবেন, বেশীবেশী দু'আ করবেন, শুয়ে বসে, হেঁটে হেঁটে যেকোন সময় যেকোনো ভাবে আপনি দোয়া করতে পারবেন। 

এমন নয় যে শুধু নামাজেই দোয়া করা যায়! আপনি যেকোনো সময় হাত তুলে কিংবা না তুলে মনে মনে আল্লাহ্কে ডাকতে পারেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ সর্বশ্রোতা।

যেসব দোয়ার কথা আমার মনে পড়েছে সেসব উল্লেখ করলাম, আপনারা চাইলে আরোও অনেক বিষয়ে দোয়া করতে পারেন। যখন যা কিছু প্রয়োজন শুধু চাইতেই থাকুন, আল্লাহ্‌ কখনো বিরক্ত হয় না বান্দার ডাকে, বরং খুব বেশিই খুশি হন।


রাসূল (ﷺ) বলেছেন,

"তোমরা তোমাদের সকল প্রয়োজনে আল্লাহর কাছে চাইবে, এমনকি যদি জুতার ফিতাও ছিঁড়ে যায়, তাও একমাত্র তাঁর কাছেই চাইবে, এমনকি লবণও তাঁর কাছে চাইবে।"

(সুনানে তিরমিযী ৩৯৭৩, সহীহ ইবনু হিব্বান ১৪৮)


#দুআর_লিস্ট -


১। অতীতের সকল গুনাহ মাফের জন্য দোয়া।

২। কবীরা, সগীরা গুনাহ মাফের দোয়া।

৩। সকল কল্যাণের দোয়া।

৪। ঈমান বৃদ্ধির দোয়া।

৫। নিয়ামাহ স্থায়ী হওয়ার দোয়া।

৬। সকল অকল্যাণ হতে বাঁচার দোয়া।

৭। দ্বীনের ওপর অটল থাকার দোয়া।

৮। কঠিন রোগব্যাধি হতে বাঁচার দোয়া।

৯। আসমান, জমিনের সকল বালা, মুসিবত,পেরেশানি হতে বাঁচার দোয়া।

১০। বদনজর হতে বাঁচার দোয়া।

১১। উপকারী ইলম, গ্রহণযোগ্য আমলের দোয়া।

১২। ঋণ হতে বাঁচার দোয়া

১৩। অহংকার, শিরক, বিদআত হতে বাঁচার দোয়া।

১৪। আল্লাহ্‌ ও তার প্রিয়জনদের ভালোবাসা লাভের দোয়া।

১৫। দুশ্চরিত্র হতে বাঁচার দোয়া।

১৬। উত্তম জীবনসঙ্গী পাওয়ার দোয়া।

১৭। পরিবারের সকলের সুস্থতা ও হিদায়াতের জন্য দোয়া।

১৮। আমল বৃদ্ধির জন্য দোয়া।

১৯। শত্রুর অনিষ্ট হতে বাঁচার দোয়া।

২০। সময়ে বারাকাহ পাওয়ার জন্য দোয়া।

২১। মুসলিম মজলুম ভাইবোনদের জন্য দোয়া।

২২। মৃত ব্যক্তিদের জন্য দোয়া।

২৩। নিজের ও অন্যদের হিদায়াতের জন্য দোয়া।

২৪। অনিচ্ছাকৃতভাবে গীবত হয়ে গেলে/কারোর হক নষ্ট করে থাকলে/কাউকে গালি দিয়ে থাকলে তাদের জন্য দোয়া।

২৫। প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজনদের জন্য দোয়া।

২৬। কবরের আযাব হতে বাঁচার দোয়া।

২৭। দাজ্জালের ফিতনা হতে বাঁচার দোয়া।

২৮। দুনিয়ার সকল ফিতনা হতে বাঁচার দোয়া।

২৯। সম্পদের খারাবি ও অভাব অনটন হতে রক্ষার জন্য দোয়া।

৩০। জান্নাত লাভের জন্য দোয়া।

৩১। জাহান্নাম হতে রক্ষা পাওয়ার দোয়া।

৩২। গুনাহ হতে দূরে থাকার জন্য দোয়া।

৩৩ ।আল্লাহর অনুগত বান্দা হওয়ার দোয়া।

৩৪। মুনাফিকী হতে বাঁচার দোয়া।

৩৫। হারাম হতে বাঁচার জন্য দোয়া।

৩৬। সহজ ও হালাল উপার্জনের জন্য দোয়া।

৩৭। সকল মুসলিম উম্মাহের জন্য দোয়া।

৩৮। যারা দোয়া চেয়েছে তাদের জন্য দোয়া।

৩৯। জালিম শাসকের অনিষ্ট হতে বাঁচার দোয়া।

৪০। জালিম শাসকের হিদায়াত/ধ্বংসের দোয়া।

৪১। ইসলামী শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য দোয়া।

৪২। কাফিরদের অনিষ্ট হতে রক্ষা পাওয়ার দোয়া।

৪৩। সকল বদ অভ্যাস হতে বাঁচার দোয়া।

৪৪। নবীজী (ﷺ) এর শাফায়াত লাভের জন্য দোয়া।

৪৫। ব্যবহার সুন্দর হওয়ার জন্য দোয়া।

৪৬। শয়তানের ওয়াসওয়াসা থেকে রক্ষা পাওয়ার দোয়া।

৪৭। জ্বীন ও মানুষ শয়তানের অনিষ্ট হতে বাঁচার দোয়া।

৪৮। কঠিন পরিস্থিতি হতে বাঁচার দোয়া।

৪৯। অনাকাঙ্ক্ষিত সকল দুর্যোগ হতে বাঁচার দোয়া।

৫০। ঈমানেরসহিত মৃত্যুবরণ করার দোয়া।


লিখেছেন : mehejabin

07 November 2024

 উত্তম জিকির ও উত্তম দোয়া:


জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ


জাবির ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে আমি বলতে শুনেছি : “লা- ইলা-হা ইল্লাল্লাহ” অতি উত্তম যিক্‌র এবং “আলাহামদু লিল্লাহ্‌” অধিক উত্তম দু‘আ।


জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৩৩৮৩

হাদিসের মান: হাসান হাদিস


সুবহানাল্লাহ 

আলহামদুলিল্লাহ 

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ 

আল্লাহু আকবার 

লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লাবিল্লাহ 

সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আযীম

লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মালিকুল হাক্কুল মুবিন

ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ুম বিরাহমাতিকা আস্তাগিছ

ইয়া যাল জালালি ওয়াল ইকরাম


 اللَّهُ أَكْبَرُ كَبِيرًا وَالْحَمْدُ لِلَّهِ كَثِيرًا وَسُبْحَانَ اللَّهِ بُكْرَةً وَأَصِيلاً


"আল্লহু আকবার কাবীরা- ওয়াল হামদুলিল্লা-হি কাসীরা- ওয়া সুবহা-নাল্ল-হি বুকরাতান ওয়া আসীলা-”


(অর্থাৎ- আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ, বড়। সব প্রশংসা আল্লাহর। আর সকাল ও সন্ধ্যায় তারই পবিত্রতা বর্ণনা করতে হবে।)। সহীহ মুসলিম হাদিস নম্বরঃ ১২৪৫


লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির


" سُبْحَانَ اللَّهِ عَدَدَ خَلْقِهِ سُبْحَانَ اللَّهِ رِضَا نَفْسِهِ سُبْحَانَ اللَّهِ زِنَةَ عَرْشِهِ سُبْحَانَ اللَّهِ مِدَادَ كَلِمَاتِهِ ‏"‏ ‏.


সুবহানাল্লাহি আদাদা খালকিহি (আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করি তাঁর সৃষ্টি সংখ্যার সমান), সুবহানাল্লাহি রিদা নাফসিহী (আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করি তাঁর সন্তুষ্টি মোতাবেক), সুবহানাল্লাহি যিনাতা আরশিহি (আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করি তাঁর আরশের ওজনের সমপরিমাণ) এবং সুবহানাল্লাহি মিদাদা কালিমাতিহি (আল্লাহর পবিত্রতা বর্ণনা করি তাঁর কালাম সমুহের সমপরিমাণ)।  ইবনে মাজাহ ৩৮০৮


লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নি কুনতু মিনাজ জালিমীন


আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল জান্নাতা ওয়া আ'উযু বিকা মিনান্নার


আললাহুমমা  ইন্নি আউ’জুবিকা আন উশরিকা বিকা ওয়া আনা আ’লামু ওয়া আসতাগফিরুকা লিমা- লা- আ’লামু। (মুসনাদে আহমাদ, ছহিহ জামে)


অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমার জানা অবস্থায় তোমার সাথে শিরক করা হতে তোমারই নিকট আশ্রয় চাই। আর অজানা অবস্থায় শিরক হয়ে গেলে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।


 ‏ "‏ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْهُدَى وَالتُّقَى وَالْعَفَافَ وَالْغِنَى ‏"‏ ‏

বাংলা উচ্চারণ: "আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল হুদা ওয়াত তুকা ওয়াল আফাফা ওয়াল গিনা"


নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এ দু’আ করতেন, “হে আল্লাহ্‌! তোমার কাছে আমি হিদায়াত, তাকওয়া , চরিত্রের নির্মলতা ও আত্মনির্ভরশীলতা প্রার্থনা করি”। জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ৩৪৮৯


"আল্ল-হুম্মা আ-তিনা- ফিদ্দুন্ইয়া- হাসানাতাও ওয়াফিল আ-খিরতি হাসানাতাও ওয়াকিনা- ‘আযা-বান্ না-র”। অর্থাৎ- ‘হে আল্লাহ! আমাদেরকে দুনিয়ায় কল্যাণ দান কর এবং আখিরাতে কল্যাণ দান কর। আর আমাদেরকে জাহান্নামের শাস্তি হতে বাঁচিয়ে রাখো।’ সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৬৭৩৩


আল্লাহুম্মাগফিরলী ওয়ালিল মু'মিনীনা ওয়াল মু'মিনাত, ওয়াল মুসলিমীনা ওয়াল মুসলিমাত।


আস্তাগফিরুল্লাহ হাল্লাজি লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হাইয়ুল কাইয়ুম ওয়া আতুবু ইলাইহি


আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা;ফু আন্নি 'হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাশীল! ক্ষমা পছন্দ করো তাই আমাকে ক্ষমা করো'


আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিনিন নাবিয়্যিল উম্মিয়্যি ওয়া আলা আলিহি ওয়াসাল্লিম তাসলিমা

06 November 2024

 ইচ্ছা পূরণের নামাজ___

সালাতুল হাজত পড়ার নিয়ম :"‼️🖤


‪কোন হালাল চাহিদা পুরনের জন্য আল্লাহ’র সন্তষ্টির উদ্দেশ্যে দুই রাকাত নফল সালাত আদায় করাকে “সালাতুল হাজত” বলা হয়।…

*( ইবনু মাজাহঃ হা/১৩৮৫)


কখন পড়বেন: 

কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে কিংবা শারীরিক-মানসিকভাবে কোনো দুশ্চিন্তা দেখা দিলে এ নামাজ পড়তে হয়।


নিষিদ্ধ সময় ::

সালাতুল হাজাত নিষিদ্ধ ওয়াক্ত ব্যাতীত যেকোনো সময়েই পড়তে পারেন।


তিন সময়ে নামাজ পড়া মাকরুহ -

১. সূর্য যখন উদিত হতে থাকে এবং যতোক্ষণ না তার হলুদ রঙ ভালোভাবে চলে যায় ও আলো ভালোভাবে ছড়িয়ে পড়ে।

২. ঠিক দ্বিপ্রহরের সময় যতোক্ষণ না তা পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়ে। 

৩. সূর্য হলুদবর্ণ ধারণ করার পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত।


নিয়ম:::

নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেই। 

হাজতের নিয়তে অন্যান্য নামাজের মতোই দু রাকাত নফল নামাজ আদায় করবেন।


করণিয়::

অনান্য নামাজের মতোই উত্তম ভাবে অজু করে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়বে।


নামাজ শেষে সালাম ফিরানোর আগে প্রয়োজনের বিষয় টি খেয়াল করে

এই 

দোয়া পড়বেন-


(ُ رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ)

(রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাও ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানাতাও ওয়া ক্কিনা আজাবানা নার)


অথবা


ﻟَﺎ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ

ﺍﻟْﺤَﻠِﻴﻢُ ﺍﻟْﻜَﺮِﻳﻢُ ﺳُﺒْﺤَﺎﻥَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺭَﺏِّ ﺍﻟْﻌَﺮْﺵِ ﺍﻟْﻌَﻈِﻴﻢِ

ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻟِﻠَّﻪِ ﺭَﺏِّ ﺍﻟْﻌَﺎﻟَﻤِﻴﻦَ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﻣُﻮﺟِﺒَﺎﺕِ ﺭَﺣْﻤَﺘِﻚَ

ﻭَﻋَﺰَﺍﺋِﻢَ ﻣَﻐْﻔِﺮَﺗِﻚَ ﻭَﺍﻟْﻐَﻨِﻴﻤَﺔَ ﻣِﻦْ ﻛُﻞِّ ﺑِﺮٍّ ﻭَﺍﻟﺴَّﻠَﺎﻣَﺔَ

ﻣِﻦْ ﻛُﻞِّ ﺇِﺛْﻢٍ ﻟَﺎ ﺗَﺪَﻉْ ﻟِﻲ ﺫَﻧْﺒًﺎ ﺇِﻟَّﺎ ﻏَﻔَﺮْﺗَﻪُ ﻭَﻟَﺎ ﻫَﻤًّﺎ ﺇِﻟَّﺎ

ﻓَﺮَّﺟْﺘَﻪُ ﻭَﻟَﺎ ﺣَﺎﺟَﺔً ﻫِﻲَ ﻟَﻚَ ﺭِﺿًﺎ ﺇِﻟَّﺎ ﻗَﻀَﻴْﺘَﻬَﺎ ﻳَﺎ

ﺃَﺭْﺣَﻢَ ﺍﻟﺮَّﺍﺣِﻤِﻴﻦَ ‎


উচ্চারণ: লাইলাহা‬ ইল্লাল্লাহুল হালিমুল কারিম, সুবহানাল্লাহি রাব্বিল আরশিল আজিম। আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন, আছআলুকা মুজিবাতি রাহমাতিক; ওয়া আজা-ইমা মাগফিরাতিক, ওয়াল গানিমাতা মিন কুল্লি বিররিউ ওয়াস‌ সালামাতা মিন কুল্লি ইছমিন লা তাদাঅলি- জাম্বান ইল্লা গাফারতাহু ওয়ালা হাম্মান ইল্লা ইল্লা ফাররাজতাহু ওয়ালা হাজাতান হিয়া লাকা রিজান- ইল্লা কাজাইতাহা ইয়া আর হামার রাহিমীন।


( তিরমিজি, মিশকাতঃ হা/৮৭৩, আবু দাউদঃ ১৩১৯; সালাত অধ্যায়-২ )

 #দোয়া_কবুলের_গল্প🍀


 আমার এক আত্মীয় আছেন, উনি  সবসময় ইস্তিগফার পড়েন। উনার  জিহ্বা সব সময় যিকিরে ব্যাস্ত রাখেন। আল্লাহ তাকে প্রচুর সম্পদ দিয়েছেন। তিনি প্রমোশন ও  পেয়েছেন,  তার ছেলের বিয়ে হয়েছে। এমনকি তিনি নিজের ব্যবসাও শুরু করেছেন। যখন তার সাফল্য আর  সুখের পিছনের  গোপন কথা  জিজ্ঞেস  করা হয়, এর উত্তর ছিলো খুবই সহজ।শুধু ইস্তিগফার 


- সংগৃহিত

31 October 2024

জুমার দিনে সুরা কাহাফ পাঠের গুরুত্ব

 


জুমার দিনে সুরা কাহাফ পাঠের গুরুত্ব

ইত্তেফাক অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ : ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:৩৩

  

জুমার দিন দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ দিন হিসেবে গণ্য করা হয়। হযরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত নবীজি (সা.) বলেছেন, পৃথিবীর যতদিন সূর্য উদিত হবে তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ দিন হলো শুক্রবার। এ দিনে আদমকে (আ.) সৃষ্টি করা হয়েছে এবং জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে। এ দিনেই তাঁকে জান্নাত থেকে বের করা হয়েছিল। সর্বশেষ কেয়ামত সংঘটিত হবে শুক্রবার দিনে। (মুসলিম : ৮৫৪)। জুমার দিনকে সপ্তাহের সেরা দিন হিসেবেও ঘোষণা করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, জুমার দিন দিবসসমূহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং তা আল্লাহর নিকট অধিক সম্মানিত। (ইবনে মাজা : ১০৮৪)

জুমার দিন মুসলিম উম্মাহর জন্য রয়েছে ফজিলতপূর্ণ অনেক আমল। এগুলো মধ্যে একটি আমল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তা হচ্ছে জুমআর দিনে ‘সুরা কাহাফ’ তেলাওয়াত করা। পবিত্র কোরআনের ১৫তম পারার ১৮তম সুরা এটি। যদি কেউ সম্পূর্ণ সুরাটি তেলাওয়াত করতে না পারেন তবে সে যেন এ সুরার প্রথম এবং শেষ ১০ আয়াত তেলাওয়াত করে।

কোরআনের কোনো অংশ মুখস্থ করলে ইমান বৃদ্ধি হয়। সুরা আল কাহাফে কয়েকটি গল্প রয়েছে যেগুলি দৈনন্দিন জীবনে প্রয়োগের জন্য বাস্তব পাঠ শেখায় এবং কোরআনের সঙ্গে দৃঢ় সংযোগ গড়ে তুলতে সাহায্য করে। যেমন, ‘পৃথিবীর ওপর যা কিছু আছে আমি সেগুলোকে তার শোভা করেছি মানুষকে, এই করার জন্য যে ওদের মধ্যে কে কর্মে ভালো।’ (সুরা কাহাফ, ৭) সুরা কাহাফে চারটি ঘটনা, চারটি বক্তব্য ও উপদেশ রয়েছে। সুরার ১ থেকে ৮ আয়াতে রয়েছে বক্তব্য। ৯ থেকে ২৬ আয়াতে আছে আসহাবে কাহাফের ঘটনা।

হাদিসে আছে, ‘যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্থ করবে, সে দাজ্জালের ফিতনা থেকে মুক্তি পাবে।’ (মুসলিম শরিফ) রাসুল (সা.) আমাদের সুরা কাহাফের প্রথম দশটি আয়াত মুখস্থ করতে বলেছেন। 

সুরা কাহাফের প্রথম দশ আয়াতে ইসলামের মৌলিক কয়েকটি বিষয়ে বলা হয়েছে। ‘আর তাদের সতর্ক করার জন্য যারা বলে যে, আল্লাহ সন্তান গ্রহণ করেছেন, এ বিষয়ে তাদের কোনো জ্ঞান নেই এবং তাদের পিতৃপুরুষদেরও ছিল না। উদ্ভট কথাই তাদের মুখ থেকে বের হয়, তারা কেবল মিথ্যাই বলে।’ (সুরা কাহাফ, ৪-৫)

রাসুলের (সা.)–এর ওপর ওহি অবতীর্ণ হওয়ার আলোচনা এসেছে, ‘প্রশংসা আল্লাহরই, যিনি তাঁর দাসের প্রতি কিতাব অবতীর্ণ করেছেন ও এর মধ্যে তিনি কোনো অসংগতি রাখেননি।’ (সুরা কাহাফ, ১)

প্রতিদানের কথা এসেছে পরের আয়াতে। তাতে ভয় ও আশা দুটি আবেগই দেখা যায়। ‘তার কঠিন শাস্তি সম্পর্কে সতর্ক করার জন্য একে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন আর বিশ্বাসীগণ যারা সৎকাজ করে, তাদেরকে সুসংবাদ দেবার জন্য যে তাদের জন্য বড় ভালো পুরস্কার রয়েছে।’ ‘সেখানে তারা চিরকাল থাকবে।’ (সুরা কাহাফ, ২-৩)

রাসুল (সা.) আমাদের আগেই সতর্ক করে দিয়েছেন, ‘আদমের সৃষ্টির পর থেকে বিচার দিবসের আগ পর্যন্ত দাজ্জালের চেয়ে বড় আর কোনো ফিতনা নেই।’ (মুসলিম শরিফ) এটি দাজ্জালের বিরুদ্ধে একটি ঢাল।

‘সূরা কাহাফ’ পাঠ ও তেলাওয়াতের ফজিলত- যে ব্যক্তি জুমার দিন সূরা আল কাহাফ পড়বে, তার (ঈমানের) নূর এ জুমাহ হতে আগামী জুমাহ পর্যন্ত চমকাতে থাকবে। (মিশকাত ২১৭৫)।- যে ব্যক্তি সূরা আল কাহাফ এর প্রথম দশটি আয়াত মুখস্থ করবে তাকে দাজ্জালের অনিষ্ট হতে নিরাপদ রাখা হবে। (মুসলিম) (মিশকাত)।- ‘যে ব্যক্তি সূরা কাহাফ পাঠ করবে, কিয়ামতের দিন তার জন্য এমন একটি নূর হবে, যা তার অবস্থানের জায়গা থেকে মক্কা পর্যন্ত আলোকিত করে দিবে। আর যে ব্যক্তি উহার শেষ দশটি আয়াত পাঠ করবে, তার জীবদ্দশায় দাজ্জাল বের হলেও সে তার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। ’ (সিলসিলায়ে সহীহা -২৬৫১)।- যে ব্যক্তি জুমার রাত্রিতে সূরা কাহাফ পাঠ করবে, তার জন্য স্বীয় অবস্থানের জায়গা হতে পবিত্র মক্কা পর্যন্ত একটি নূর হবে। ’ (সহীহ তারগীব ওয়াত্ তারহীব - ৭৩৬)।- জুমার দিনে সূরা কাহফ পাঠ করিলে কিয়ামত দিবসে তার পায়ের নীচ থেকে আকাশের মেঘমালা পর্যন্ত নূর আলোকিত হবে এবং দুই জুমার মধ্যবর্তী গুনাহ মাফ হবে। (আত তারগীব ওয়াল তারহীব- ১/২৯৮)- জনৈক ব্যক্তি সূরাহ আল কাহাফ পড়ছিল। তখন লোকটি তাকিয়ে দেখতে পেল একখণ্ড মেঘ তাকে পরিবেষ্টন করে নিয়েছে। বারা ইবনু আযিব বর্ণনা করেছেন যে, লোকটি বিষয়টি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসালাম এর কাছে বললেন। তিনি তাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, হে অমুক তুমি সূরাটি পড়তে থাক। কারণ এটি ছিল আল্লাহর রহমাত বা প্রশান্তি যা কোরআন তেলাওয়াতের কারণে বা কোরআন তেলাওয়াতের জন্য অবতীর্ণ হয়েছিল। (মুসলিম- ১৭৪২)।অর্থাৎ এটা হলো আল্লাহ  তায়ালার পক্ষ থেকে ওই ‘সাকীনা’ বা প্রশান্তি যা কোরআন পাঠের সময় অবতীর্ণ হয়ে থাকে। বৃহস্পতিবার দিন শেষে সূর্য ডোবার পর থেকে শুক্রবার সূর্য ডোবা পর্যন্ত যে কোনো সময় সূরা কাহাফ পাঠ করলে হাদিস অনুযায়ী আমল করা হবে, ইনশাআল্লাহ।

 বৃহস্পতিবার  দোয়া কবুলের সময় ।

যাদের বিয়ে হচ্ছে না, বাচ্চা হচ্ছে না, চাকরি হচ্ছে না তারা দোয়া করাতে পারেন।

বৃহস্পতিবার খতম পড়ে বিভিন্ন আমল করে তাদের জন্য দোয়া করা হবে ইনশাআল্লাহ।


আপনি ও আপনার সমস্যার জন্য খতম পড়াতে পারেন। যারা খতম পড়াতে চান পেইজে লাইক দিয়ে মেসেজ করতে পারেন।

 টাইমলাইনে রেখে দিতে পারেন কাজে লাগবে ইনশাআল্লাহ।              খতমে শিফা পড়ার নিয়ম। ১। ইস্তেগ্ফার- ১১বার ২। সূরা ফাতিহা- ১০০ বার ৩। দরূদ শ...

Popular Post