সুরা কাফিরুন।
পবিত্র কোরআনের ১০৯ নম্বর । ছোট ছোট মাত্র ৬ টা আয়াত । এ সুরা পাঠের পুরস্কার জানলে আপনি না পড়ে থাকতেই পারবেন না । আর রমজান তো কোরআন পাঠের মোক্ষম সময়।
১. সুরা কাফিরুন সমগ্র কুরআনের চতুর্থাংশের সমান ।
রাসুলুল্লাহ সাঃ বলেছেন: “সুরা কাফিরুন কুরআনের এক চতুর্থাংশের সমান।”
(তিরমিজি: ২৮৯৩, সহিহুল জামে: ৪৪৭৪ - হাসান)
২. প্রতিদিন ফজরে ।
"আবু হুরাইরা রাঃ থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসূল সাঃ ফজরের সুন্নতের দুই রাকাতে প্রথম রাকাতে 'সুরা কাফিরুন' এবং দ্বিতীয় রাকাতে 'সুরা ইখলাস' পাঠ করতেন।"
(সহিহ মুসলিম: ৭২৬, আবু দাউদ: ১২৫৮, তিরমিজি: ৪১৩, নাসাঈ: ৯৪৫, ইবনে মাজাহ: ১১৪৭)
৩. প্রতিদিন মাগরিবে ।
"ইবনে উমর রাঃ বলেন: আমি ২৪ বা ২৫ বার লক্ষ্য করেছি যে, রাসূলুল্লাহ সাঃ মাগরিবের পর দুই রাকাত নামাজ পড়তেন এবং তাতে প্রথম রাকাতে 'সুরা কাফিরুন' ও দ্বিতীয় রাকাতে 'সুরা ইখলাস' পাঠ করতেন।"
(মুসনাদ আহমদ: ৫৬৭২, ইবনে হিব্বান: ২৫৭৯, বাইহাকি: ৪৪৪২, হাকিম: ১/২৬৮ - সহিহ বলেছেন)
৪. কাবা তাওয়াফ শেষে ।
"রাসুলুল্লাহ সাঃ যখন তাওয়াফ শেষ করতেন, তখন মাকামে ইবরাহিমের পেছনে দুই রাকাত নামাজ পড়তেন। প্রথম রাকাতে তিনি 'সুরা কাফিরুন' এবং দ্বিতীয় রাকাতে 'সুরা ইখলাস' পাঠ করতেন।"
(সহিহ মুসলিম: ১২১৮, তিরমিজি: ৮৬৯, নাসাঈ: ২৯১৯)
৫. শিরক থেকে মুক্তির ঘোষণা ।
হাদিসে এসেছে, "রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন সুরা কাফিরুন পড়ো, কারণ এটি শিরক থেকে মুক্তির ঘোষণা।"
(আহমদ: ১৭৩০৬, বাইহাকি: ৪৪১৬ - সহিহ)
৬. ঘুমোতে যাওয়ার আগে ।
"নবিজী সাঃ যখন বিছানায় যেতেন, তখন সুরা কাফিরুন পড়তেন এবং বলতেন, 'এটি শিরকমুক্ত থাকার ঘোষণা।'"
(আবু দাউদ: ৫০৫৫, তিরমিজি: ৩৪০৩ - হাসান সহিহ)
৭. জান্নাতে প্রবেশের সুসংবাদ
এক ব্যক্তি নবী সাঃ কে জিজ্ঞাসা করলেন:
"ইসলামে সবচেয়ে উত্তম কাজ কী?"
তিনি বললেন: "সুরা কাফিরুন পড়ো যখন তুমি ঘুমাতে যাবে, কারণ এটি শিরকমুক্ত থাকার দলিল, আর এটি পড়লে তুমি জান্নাতে প্রবেশ করবে।"
(বায়হাকি: ৪৪১৭ - হাসান)